ডার্ক মোড
Sunday, 15 June 2025
ePaper   
Logo
লালমনিরহাটের মালদা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে সীমান্ত সড়ক বর্ষার আগেই পদক্ষেপের দাবি

লালমনিরহাটের মালদা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে সীমান্ত সড়ক বর্ষার আগেই পদক্ষেপের দাবি

মোঃ লাভলু শেখ ,লালমনিরহাট 

ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষে মালদা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে ধিরে ধিরে বিলীন হচ্ছে সীমান্ত সড়ক। গত বছরের ভাঙনে বসতভিটা হারিয়েছে অন্ততঃ ১০টি পরিবার। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ওই সীমান্ত সড়কটির ভাঙন ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কটির অর্ধেকের বেশি অংশ ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাবাসী প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে বিকল্প সড়কে চলাচল করছে। ভোগান্তিতে পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দা, স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। বেশি সমস্যায় পড়েছে রোগী ও জরুরি প্রয়োজনে চলাচলকারী লোকজন। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)'র কার্যক্রম।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত বছরের ভাঙনে বগুড়াপাড়া, মালগাড়া এলাকার অন্তত ১০টি পরিবার ইতোমধ্যে বসতভিটা হারিয়েছে। এবার ভাঙন আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মসজিদ মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ৫ হাজার পরিবার ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে।

এসময় কান্নাজড়িত কন্ঠে ষাটোর্ধ ছমিরন বেগম জানান, ভাঙনের কবলে পড়ে জমি না থাকায় ২চালা ঘর সরিয়ে ওই সীমান্ত সড়কের ওপাড়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়েছে। এখন যেভাবে সড়ক ভাঙছে। এতে আমি চরম ঝুকিতে রয়েছি।
বগুড়াপাড়ার ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা ইসমাইল হোসেন (৫০) জানান,আমার বাড়ি-জমি সবই বিলীন হয়েছে মালদা নদীতে। বসতবাড়ীর ৩টি ঘরের ২টি গিলে নদীতে বিলিন এখন পরিবারসহ ঠাঁই নিয়েছি রাস্তার ধারে। একই এলাকার আবুল কালাম জানান, বলাইরহাট-লোহাকুচি এলাকার ওই সড়ক দিয়ে লালমনিরহাট জেলা শহরে যাতায়াত করতাম। এবার ভাঙনে সড়ক ও ব্রীজ ২টিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভাঙনের শুরু থেকেই একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জনপ্রতিনিধিরা সড়কটি পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি অভিযোগ স্থানীয়দের।

গোড়ল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান রমজান আলী জানান, নদী সড়ক থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে ছিল। গত ২বছরের ভাঙনে সড়কের অর্ধেক বিলীন হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় বিপর্যয় দেখা দেবে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় জানান, গত ৪ জুন মালদার ভাঙ্গন প্রবণ এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিস্থিতি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন