
লাকসামে মাদ্রাসায় বৈঠককালে জামায়াতের আমিরসহ ১০ নেতাকর্মী গ্রেফতার
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার লাকসামে একটি মাদ্রাসায় গোপন বৈঠকের সময় উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের বাকই গ্রামে জামিয়াতুস সুন্নাহ তাহফীজুল কুরআন মাদ্রাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কিছু নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের বাকই গ্রামে জামিয়াতুস সুন্নাহ তাহফীজুল কুরআন মাদ্রাসায় গোপন বৈঠকের মাধ্যমে ধ্বংসাত্নক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা করছিল।
এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লাকসাম থানা পুলিশের এসআই থোয়াইছামং চাকমা নয়ন, এইচ.এম.এ লতিফ, ও এএসআই দূর্জয় বড়ুয়াসহ পূলিশ অভিযান চালিয়ে লাকসাম উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের শুকতলা গ্রামের মৃত সেরাজুল হকের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম (৫৮), কান্দিরপাড় ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির চেঙ্গাচাল গ্রামের মৃত আবদুল আলীর ছেলে আবু হানিফ (২৭), একই ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর সহ-সাধারন সম্পাদক হামিরাবাগ গ্রামের মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে মো. ওমর ফারুক (৩২), একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি সাতবাড়ীয়া গ্রামের মো. মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. আবুল হাশেম (৫২), জামায়াতে ইসলামীর কর্মী বাকড্ডা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৮), কেমতলী নোয়াপাড়া গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে নুরে আলম (৩০), একই গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে বেলাল হোসেন (৪০), রনচৌ গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আবদুল মমিন (৫৩), হামিরাবাগ গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে বজলুর রহমান (৭০), সালেপুর গ্রামের মৃত দরবেশ আলীর ছেলে আবু তাহেরকে (৬৬) গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের সাংগঠনিক বিভিন্ন কাগজপত্র এবং ১০৭টি লাঠি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে লাকসাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ এর ১৯৭৪ইং ধারায় মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। লাকসাম থানা পুলিশের ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।