
রাউজানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারি পণ্য, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, নেই বিএসটিআই অনুমোদন
শাহাদাত হোসেন সাজ্জাদ, রাউজান (চট্টগ্রাম)
রাউজানে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বেকারি পণ্য। প্রতিদিন চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বড় দোকানগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে বেকারি বিভিন্ন পণ্য।বেকারির এসব পণ্য খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে মানুষ।ঝুঁকিতে মানব স্বাস্থ্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাউজান পৌরসভার নন্দীপাড়া এলাকায় আল-আকসা বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে পণ্য তৈরি করছে। এছাড়া রাউজানে ব্যাঙের ছাতার মত বেকারির ছড়াছড়ি। এই উপজেলায় অন্তত ৪০টি বেকারির কারখানায় বিস্কুট,কেক, রুটি,পাউরুটিসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, আল- আকসা বেকারির কারখানায় ঢুকেই চোখে পড়ে নোংরা পরিবেশ, মেঝেতে ছড়ানো ময়লা, আর পুরনো পোড়া তেল।
শুধু তেল নয়, স্বাস্থ্যবিধি মানারও কোনো বালাই নেই। খোলা হাতে, শরীরে কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই বানানো হচ্ছে এসব পণ্য। আর কাঁচামাল? সেটাও মানহীন। তৈরি করা খাবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকে খোলা জায়গায়।
এমন অবস্থার কথা জানতে চাইলে বেকারির ম্যানেজার আব্বাস উদ্দিনের আসে নানা অযুহাত।তিনি জানান, এই বেকারির মালিক রয়েছে সাত জন। আইন অনুযায়ী, একটি বেকারি কারখানা চালাতে বিএসটিআই অনুমোদন, স্যানিটারি লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ নানা ছাড়পত্র প্রয়োজন। তবে অধিকাংশ বেকারির নেই ট্রেড লাইসেন্স, বিএসটিআই, পরিবেশ, স্যানিটারি ও ট্রেডমার্ক ছাড়পত্র। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে এসব বেকারি।
জানা যায়, বেশির ভাগ শিশুর পছন্দের খাবারের তালিকায় বিস্কুট, কেক,পাউরুটিসহ বিভিন্ন ধরণের বেকারির পণ্য রয়েছে। আবার অনেকে বাজার থেকে পরিবারের জন্য এসব বেকারি পণ্য কিনে নিয়ে যান। বাড়িতে কিংবা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গেলেও বেকারি পণ্য দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকেন। সাধারণ মানুষও বাজার থেকে বেকারি এসব পণ্য কিনে খায়। ক্লান্তি দূর করতে রিকশা-ভ্যানচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ টং দোকানে এক কাপ চায়ের সাথে এসব খাদ্য দিয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে থাকে। এসব খাদ্যসামগ্রীর চাহিদাও মোটামুটি বেশ। তবে এসব খাবার স্বাস্থ্যসম্মত কি না, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। কীভাবে কোন পরিবেশে এগুলো তৈরি হচ্ছে, এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, রাউজানে যেসব বেকারিতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করছে,ওই সব কারখানার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।