মরক্কোর কাছে হেরে ফিফায় নালিশ আর্জেন্টিনার
স্পোর্টস ডেস্ক
মাঝের বিরতি বাদ দিলে ফুটবলের খেলা মাঠে গড়ায় ৯০ মিনিটের। আর অলিম্পিক গেমসের ফুটবল ইভেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আর্জেন্টিনা আর মরক্কোকে বসিয়ে রাখা হলো সেই ৯০ মিনিটই। যদিও ততক্ষণে ম্যাচ ভেন্যু সেইন্ট এতিয়েনের মাঠের ডিসপ্লেতে লেখা উঠেছে ম্যাচ পরিত্যক্ত। গণমাধ্যমগুলো ম্যাচের ঘড়ি অনুযায়ী ফলাফল লিখে ফেলেছেন।
এরপরেই আয়োজক কর্তৃপক্ষ দেখালো নাটকীয়তা। ৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের জন্য মাঠে নামলো দুই দল। বাতিল হলো অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনার করা সমতাসূচক গোল। খালি মাঠে হওয়া সেই ৩ মিনিটে গোল পায়নি কোনো দলই। ২-১ ব্যবধানে অলিম্পিকের উদ্বোধনী ম্যাচ হেরে বসে আর্জেন্টিনা।
অন্তিম মুহূর্তে আর্জেন্টিনার গোলের পর মরক্কোর ভক্ত মাঠে নেমেছিলেন। বাজি ছুঁড়ে মারা হয়েছিল আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের দিকে। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ থেকে সরিয়ে নেয়া হয় দুই দলের খেলোয়াড়দের। ততক্ষণে অবশ্য যোগ করা ১৫ মিনিটের খেলা শেষ। ঘড়িতে চলছিল ১৬ মিনিট। তখনই গোল করেন ক্রিশ্চিয়ান মেদিনা। এরপরেই আর্জেন্টিনার উদযাপনের সময় তাদের ওপর আতশবাজি আর বোতলের বৃষ্টি বসিয়ে দেয় মরক্কোর সমর্থকরা।
পরিস্থিতি শান্ত করে ম্যাচ শেষ করেন আয়োজকরা। যদিও দুই দলের অধিনায়করা আপত্তি জানিয়েছিলেন খেলার ব্যাপারে। এর ঘোলাটে এমন পরিস্থিতি নিয়ে ফিফায় নালিশ করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘সেইন্ট এতিয়েনে আর্জেন্টাইনরা যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেল, সেটা আক্ষেপের বিষয়। দুই ঘণ্টা লকার রুমে অপেক্ষা করে ফুটবলারদের অনুশীলন করে আবার এমন একটা ম্যাচ শুরু করা… অথচ মরক্কো–সমর্থকদের মাঠে ঢোকার কারণে রেফারির খেলা স্থগিত করা উচিত ছিল। সহিংসতার কারণে আর্জেন্টাইন প্রতিনিধিরা ভুগেছে, এর কোনো মানেই হয় না। এটা টুর্নামেন্টের নিয়মের বরখেলাপ।’
ফিফায় অভিযোগ করার বিষয়ে তাপিয়া লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা এরই মধ্যে ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছি, যেন যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়, যারা দায়ী তাদের যেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।’
আয়োজকদের এমন সিদ্ধান্তের ওপর ক্ষুব্ধ আর্জেন্টাইন কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো। মরক্কো অধিনায়ক খেলতে চাননি এমন দাবি করে আর্জেন্টাইন কোচের বক্তব্য, ‘মরক্কো অধিনায়ক (পুনরায়) খেলতে চায়নি। আমরাও চাইনি আর দর্শকেরাও আমাদের তাক করে অনেক কিছু ছুড়ে মেরেছে। আমার জীবনে দেখা এটাই সবচেয়ে বড় তামাশা।’
এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি লিওনেল মেসিও। পায়ের চোটে তিনি এখন রয়েছেন বিশ্রামে। বুধবার নিজ দেশের হারের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোপা আমেরিকাজয়ী আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য।’