ভূমি জোনিং অপরিহার্য --সিনিয়র সচিব ভূমি মন্ত্রণালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাস্তার পাশে সরকারের পতিত জমি দলগতভাবে কৃষিকাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া যেতে পারে উল্লেখ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সলেহ আহমেদ বলেন; ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, আবাসন, শিল্প-কারখানা ও রাস্তাঘাট নির্মাণরোধ করা; ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ রক্ষা ও খাদ্য শস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা। খাদ্য উৎপাদনের নিমিত্ত কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে। প্রাকৃতিক কারণে প্রতিনিয়ত ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণীগত ব্যবহারের পরিবর্তন হচ্ছে। ভূমি সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা অপরিহার্য। এটি নিশ্চিত করণের জন্য ‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪’ করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে 'ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন- ২০২৪'(খসড়া) চূড়ান্তকরনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে- অপরিকল্পিতভাবে ভূমির ব্যবহার রোধ করা; ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ রক্ষা ও খাদ্যশস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা। ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত জোনিং এর মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহারে রাষ্ট্রীয় অনুশাসন নিশ্চিত করা।
দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড় ও জলাশয় বিনষ্ট হয়ে খাদ্যশস্য উৎপাদনের নিমিত্তে কৃষিজমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ ধরনের জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উল্লেখিত আইনটি জরুরি হয়ে পড়েছে, বলেন তিনি।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষিজমির সুরক্ষার বিষয়টি আইনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এই আইনে উর্বর জমির অননুমোদিত ব্যবহার থেকে রক্ষা করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান(সচিব) এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।