ডার্ক মোড
Saturday, 26 October 2024
ePaper   
Logo
বেতাগীতে কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন

বেতাগীতে কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার বেতাগীতে স্থায়ী কাঁচাবাজারের দাবিতে কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত ৭ টা পর্যন্ত দেখা যায় দোকানপাট বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি), পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দেখা করেন।

জানা গেছে, বেতাগী খাসকাচারি মাঠে দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থানীয় কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা বাজার বসিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। কিন্ত স্থানীয় প্রশাসন সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে তাদেরকে বেতাগী পৌর শহর এলাকায় খালের জমি ভরাট দিয়ে বাজার হস্তান্তর করে পৌর শহরের টাউনব্রিজ সংলগ্ন উত্তর পাশে বসতে স্থান করে দেওয়া হয়।

সেখানে স্থান সংকুলান ও মানুষের সমাগম না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা টাউনব্রিজের উপড় অস্থায়ীভাবে বাজার বসিয়ে মালমাল বিক্রি করে। এতে ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতে মানুষের ভোগান্তির কারণে সেখান থেকে প্রশাসন বাজার উঠিয়ে দেওয়ায় কাঁচা বাজারের ব্যসায়ীরা চরম বিপাকে পড়ে। নিরুপায় হয়ে বারং বারং বাজার বসা ও উঠিয়ে দেওয়ার কারণে তাদের আয়-রেজাগার বন্ধ হওয়ায় দিন দিন নি:স্ব নি:স্ব হয়ে পড়ছে।

ফলে ব্যবসায়ী জোট বেধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন। এর আগে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি), পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করে তাদের পুরানো এ সমস্যা দ্রæত সময়ে মধ্যে পূরণের দাবী তুলে ধরেন।

বেতাগী পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমদ জানান, ব্যবসায়ীরা তার সাথে দেখা করার সময় স্থানীয় ক্রেতারা যাতে কাঁচাবাজার মুখি হয় সে জন্য বর্তমানে যে স্থান রয়েছে অপরিসর হলেও সেখানে শীঘ্রই রাস্তা নির্মাণ করে বাজারের পরিবেশ তৈরি এবং কাঁচা বাজারের জন্য নতুন নির্ধারিত জায়গা খোজার আশ্বাস দিলেও ব্যবসায়ীরা তাদের দাবিতে অনঢ় থেকে ধর্মঘট পালন করেন।

সরজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অফিসগামী সবজি ক্রেতারা সবজি না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। উপজেলার বাসন্ডা থেকে সবজি নিতে বাজারে এসেছেন সাবিনা বেগম কিন্তু এসে শুনতে পান ধর্মঘটের কথা। এখন কোথায় যাবেন, কী করবেন কিছুই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তিনি। একইভাবে অপেক্ষা করছেন আমিরুল ইসলাম সহ আরও অনেকে।

কাঁচাবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, রোদ লাগলে সবজি শুকিয়ে নষ্ট হয়, তার পরেও পেপের তাগিদে রোদেপুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে জায়গার অভাবে বাধ্য হয়ে আমরা ব্রিজের উপর বসে বেচাকেনা করে আসছি। পুন:রায় তাদের আর বসার কোন সূযোগ দেওয়া হবেনা এমনটা বলায় আর কোন উপায় না পেয়ে ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালনের ডাক দিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন, বসার নির্ধারিত স্থান না থাকায় আয় হোক বা না হোক তবুও সরকার নির্ধারিত টোল দিতে হচ্ছে। ইজারাদারদের রেষারেসিতে দুই-তিনগুণ বেশী টাকায় ইজারা নিয়ে সে টাকা আদায় করা হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ী ও কৃষকদের কাছ থেকে।

কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন,‘ আমার পেটের দায়ে ব্যবসা করি এখন কোথায় যাবো। নির্দিস্ট স্থান না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।’

এ বিষয় বেতাগী পৌরসভার নির্বাহী প্রকেীশলী মো: জসিম উদ্দিন বলেন, এটি বেতাগী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের সমস্যা। এ সম্পর্কে আমি অবগত রয়েছি। বর্তমানে পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছে ইউএনও মহোদয়। তিনি যেভাবে নিদের্শনা দিবেন সেই অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন