বাড়িভাড়া না দেওয়া ‘স্যার জাফর’ অফিস থেকে উচ্ছেদ
যুক্তরাষ্ট্র ব্যুরো
নিউইয়র্ক সিটির হিলসাইড এভিনিউতে অবস্থিত বাড়িতে স্থাপিত অফিসের ভাড়া ১৯ মাস ধরে দিচ্ছিলেন না হোমকেয়ার ব্যবসার প্রতিষ্ঠান ‘বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস’র কর্ণধার ‘স্যার’ নামধারী জাফর মাহমুদ। অগত্যা উচ্ছেদ মামলা ঠুকলেন বাড়িওয়ালা আমিনুল ইসলাম। পরে একটা রফা হয়–‘বকেয়াভাড়া আদালতের মাধ্যমে কিস্তিতে শোধ করা হবে।’
প্রথম কিস্তির ২০ হাজার ডলারের সার্টিফাইড চেক ২ অক্টোবর প্রদানের পর সমস্ত আসবাবপত্র সরিয়ে নেয় বাংলা সিডিপ্যাপের কর্ণধার। একইসাথে ১৪৭-১৪ হিলসাইড এভিনিউ, জ্যামাইকা, নিউইয়র্ক ১১৪৩৫ ঠিকানায় অবস্থিত ওই ভবনের দোতলা থেকেও সপরিবারে উচ্ছেদ হয়েছেন আদিত্য শাহীন নামক হোমকেয়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাও। তিনিও ভাড়া পরিশোধ করেননি দীর্ঘ ১৮ মাস।
‘বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস ইনক’ এবং ‘অ্যালেগ্রা হোমকেয়ার’র প্রেসিডেন্ট আবু জাফর মাহমুদ করোনা-পরবর্তী সময়ে ফেডারেল ও স্টেট প্রশাসনের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে হঠাৎ বিত্তশালীতে পরিণত হবার পর নিজের নামের আগে ‘স্যার’ বিশেষণ যুক্ত করেন এবং কম্যুনিটি ও রাজনীতিতেও নানা উপদেশমূলক বক্তব্য-বিবৃতি প্রদান করে আসছেন। মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে নাকি ওই ‘স্যার’ তথা ‘নাইট অব সেন্ট জন অব জেরুজালেম’ উপাধি পেয়েছেন ২০২৩ সালে । এমন ব্যক্তি কর্তৃক কথিত সেবামূলক কর্মকাণ্ডের অফিসের ভাড়া পরিশোধ দূরের কথা, বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের অজ্ঞাতে ওই ভবনে অনেক কাজ করেছেন যা আইনসিদ্ধ নয়।
বেসমেন্টে টিভি স্টেশনের অভিপ্রায়ে ভবনকে ঝুঁকিতে ফেলে মূল ভবনের একটি পিলারও অপসারণ করেছেন। এসব তথ্য জানাজানি হবার পর প্রবাসীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন উঠেছে। নীতি-বাক্য আওড়াতে অভ্যস্ত জাফর মাহমুদ কর্তৃক অফিস ও বাসার ভাড়া প্রদানে অনীহার কারণে ভবনের মালিক ‘নিহারিকা এনওয়াইসি কর্পোরেশন’র মালিক আমিনুল ইসলাম ৩টি মামলা করেন।