ডার্ক মোড
Saturday, 27 July 2024
ePaper   
Logo
বাগাতিপাড়ায় কমিউনিটি ল্যাট্রিন প্রকল্পে সরকারের ৪ লক্ষ টাকা জলে

বাগাতিপাড়ায় কমিউনিটি ল্যাট্রিন প্রকল্পে সরকারের ৪ লক্ষ টাকা জলে

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় কমিনিটি ল্যাট্রিন প্রকল্পটি ৬ বছর অতিবাহিত হলেও ব্যবহার হয়নি একদিনও। জনস্বার্থে নির্মিত হলেও পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ এর সঠিক নিয়মনীতি না থাকায় সরকারের ৪ লক্ষ টাকার পুরোটাই গেছে জলে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর সূত্রে জানা যায়, জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্পের আওত্তায় (তৃতীয় পর্যায়ে) জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর বাস্তবায়নে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে দুই কক্ষ বিশিষ্ট আলাদ দুইটি কমিউনিট ল্যাট্রিন এর বরাদ্ধ আসে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। একটি নির্মাণ হয় উপজেলার দয়ারামপুর বাজারে, অপরটি ইউএনও পার্কে। ২০১৭ সালে ইউএনও পার্কে এই কমিউনিটি ল্যাটিনটির নির্মান কাজ সম্পূর্ণ হয়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পুরাতন ইউএনও পার্ক সংলগ্ন কমিউনিটি ল্যাট্রিনটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট। এর দরজা দুইটির ১টি তালাবন্ধ ও ১ টি খোলা। খোলা দরজাটি ভিতরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলোর অধিকাংশ চুরি ও নষ্ট হয়েগেছে। ল্যাট্রিনটির পিছনে সেফ ট্যাংকি দিয়ে বাসানো হয়েছে একটি সাবমারসিবল পাম্প, তাতে কখনোও উঠেনি এক ফোটা পানি।ছাদের উপরে পানির ট্যাংকি টি জরার্জীণ। বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থাকলেও অযত্নে অবহেলায় চুরি হয়ে গেছে বিদ্যুত সংযোগ ব্যবস্থা।

ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে তৎকালীন ইউএনও খন্দকার ফরহাদ আহমদ এই পার্কটি গড়ে তোলেন। সে সময় বেশ কিছু স্থানে বিভিন্ন অবকাঠামো ও ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। এরপর জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় দুই কক্ষ বিশিষ্ট কমিউনিটি ল্যাট্রিন নির্মাণ করা হয়েছিল।

এরপর ২০১৯ সালে যোগদান করেন ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল। তিনি এ পার্কটি নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। হাবিবুর রহমান পলাশ নামের এক ব্যক্তি পার্কের সঙ্গে অংশীদারিত্ব নেন এবং নতুনরুপে পার্কটির একটি অংশে প্রাচীর বেষ্টিত সংরক্ষিত স্থানে পার্কের কার্যক্রম স্থানান্তরিত করেন। ফলে বাকী অংশটুকু অযত্নে অবহলায় নষ্ট হতে থাকে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউএনও পার্ক সাইনবোর্ড নামধারী দোকানী মালিক সাইদুল ইসলাম প্রাং বলেন, নদীর তীর ঘেসে পার্কটি হওয়ায় এখানে প্রচুর লোকজন ঘুরতে আসে। এখানে বিভিন্ন ভাস্কর্য ছিল। বিশ্রাম নেওয়া ও পার্কের দৃশ্য উপভোগ করার জন্য একটি বিশ্রামাগার এখানেই এখনও আছে।সেই সময় এই ল্যাট্রিনটিও নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু একদিও চালু করা হয়নি। জনস্বার্থে ল্যাট্রিনটি চালুর করার দাবি জানান।

ইউএনও পার্কে ঘুরতে আসা সোনাপাতিল মহল্লার মেহেদি হাসান সুমন বলেন, আমারা মাঝে মধ্যেই পার্কে ঘুরতে আসি। টয়লেটর প্রয়োজন হলে নতুন পার্কে ভিতরে টিকেট কেটে গিয়ে আবার টাকা দিয়ে টয়লেট ব্যবহার বিষয়টা কষ্টকর ও ব্যয় বহুল। এই ল্যাট্রিনটি প্রশাসন অংশীদারিত্বের মাধ্যমে চালু করা হলে এখানে ঘুরতে আসা লোকজনের অনেক উপকার হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ল্যাট্রিনটি অনেক আগে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে যেটুকু জানতে পেরেছি সেই সময় উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জনস্বার্থে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা সরকার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না, জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং জনস্বার্থে সেটি চালু করার ব্যবস্থা করা হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন