
বরগুনা-২ আসনে একই গ্রামে ৩ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ১ জনের
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনা-২ (বেতাগী-বামনা-পাথরঘাটা) আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই গ্রাম থেকে এমপি প্রার্থী হয়েছিলেন তিনজন। তাদের সবার বাড়ি বেতাগী উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের কিসমত করুণাগ্রামে। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা-২ আসন থেকে হওয়া এই তিনজন হলেন কিংস পার্টি হিসবে খ্যাত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান খোকন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে আবু বকর সিদ্দিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে রফিকুল ইসলাম।
কিন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের মনোনয়ন পত্রে দাখিলকৃত ভোটারদের স্বাক্ষরে গড়মিল পাওয়ায় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। রোববার দুপুরে বরগুনা জেলা প্রশাসকের সুবর্ণজয়ন্তী হল রুমে মনোনয়নপত্র যাচাই-বছাই করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা রিটানির্ং কমকর্তা ও বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম এ মনোনয়ন পত্র বাতিল করেন।
প্রার্থীদের মধ্যে এদের দুজনই এবারই প্রথম সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হন। আর প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান খোকন তিনি এর আগেও একজন সংসদ সদস্যও ছিলেন।এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসনে ৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। রবিবার বেলা ১১টায় বরগুনা জেলা প্রশাসকের সুবর্ণজয়ন্তী হল রুমে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু ও শেষ হয়।
বরগুনা-১ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে বরগুনা-২ (বেতাগী-বামনা-পাথরঘাটা) আসনে ঋণ খেলাপির অভিযোগে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত দুইজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলে দলের সিদ্বান্ত অনুযায়ী একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওযায় আ. রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের দাখিলকৃত ভোটারদের স্বাক্ষরে গড়মিল পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ আসনে প্রাথমিকভাবে ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে ত্রুটি পাওয়ায় আমরা বাতিল করেছি। প্রার্থীদের এ সিদ্বান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্বান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর।