
বন্যার আশংকা লালমনিরহাটের তিস্তার পানি বাড়ছে
মোঃ লাভলু শেখ, লালমনিরহাট
ভারতে থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
এতে আতংক ছড়িয়েছে নদী সংলগ্ন ৮৯ টি চরে মানুষের মাঝে।
পানি যেভাবে হু হু করে বাড়ছে তাতে যে কোন সময় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এদিকে তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রনে রাখতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে ৪৪ টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তিস্তার চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী বাসীন্দারা জানিয়েছেন ভারতের উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, ওকুড়িগ্রাম জেলার নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজে এলাকার বাসিন্দা বাহার উদ্দিন, কিসমত আলী, সরাফত আলীসহ অনেকেই বলেন,আমরা নদী পাড়ের মানুষ সব সময় আতংকে থাকি। বন্যা, খরা নদী ভাঙ্গনের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের জীবন অতিবাহিত হয়। বিশেষ করে ভারতের উজানে যে গেট রয়েছে তার নাম গজলডোবা এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়ন্ত্রন করে থাকেন। খরা মৌসুমে গেটটি বন্ধ রাখা হয় আর বর্ষা এলেই থেমে থেমে পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে ভাসিয়ে দেয় ভারত। কারন বৃষ্টির পানিতে বন্যা হয় না। বন্যা হয় ভারতের উজানের পানিতে।
দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম ইনচাজ নুরুল ইসলাম জানান, উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে । পানি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ব্যারেজের ৪৪ গেট খুলে রাখা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সতর্কসীমায় (বিপদসীমা) প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, ওকুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৗধুরী বলেন, বন্যা আশংকায় আমরা সতর্ক মূলক প্রস্তুতি গ্রহন করেছি।
তবে বন্যাপূর্বাভাস জানিয়েছেন।
১১ জুলাই
সন্ধ্যা ৬ টায় তিস্তা নদীঃ
১। ডালিয়া পয়েন্ট -
পানির সমতল ৫১.৭৮ মিটার
(বিপদসীমা = ৫২.১৫ মিটার)
যা বিপদসীমার ৩৭ সে.মি নিচে ।
২। কাউনিয়া পয়েন্ট -
পানির সমতল মিটার
(বিপদসীমা = ২৯.৩০ মিটার)
যা বিপদসীমার সে.মি নিচে।
ধরলা নদীঃ
১। শিমুলবাড়ি পয়েন্ট -
পানি সমতল ২৮.৫৬মিটার,
(বিপদসীমা = ৩০.৮৭ মিটার)
যা বিপদসীমার ২৩১ সে.মি নিচে
২। পাটগ্রাম পয়েন্ট -
পানি সমতল ৫৬.৬১ মিটার ,
(বিপদসীমা = ৬০.৩৫ মিটার)
যা বিপদসীমার ৩৭৪ সে.মি নিচে বলে নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন
আপনি ও পছন্দ করতে পারেন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
আর্কাইভ!
অনুগ্রহ করে একটি তারিখ নির্বাচন করুন!
দাখিল করুন