পলিথিন কারখানায় অভিযানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, রাজধানীর চকবাজারে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন উৎপাদন কারখানায় অভিযান চালানোর পরে স্বার্থান্বেষী মহল কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পানি ভবনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব মেছো বিড়াল দিবস উদযাপন এবং মেছো বিড়াল সংরক্ষণের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয় বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রতিদিন সোয়া কোটি পলিথিন ব্যাগ বর্জ্য হিসেবে উৎপাদন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বার্থান্বেষী মহলের প্রতিরোধ আসলেও অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পলিথিন উৎপাদন ও বিপনন বন্ধ করতেই হবে। এলক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষের হাত থেকে মেছোবিড়ালকে বাঁচাতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পাহাড় ও টিলা কাটার বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি অবৈধ ইটভাটা ও কৃষি জমির মাটি কাটার বিরুদ্ধেও অভিযান জোরদার করার জন্য বলেন।
উল্লেখ্য, আজ রাজধানীর ঢাকা চকবাজার এলাকায় ৩টি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কারখানা ৩টি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয় ও বিভিন্ন দোকান মালিককে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার বিষয়ে সতর্কতামূলক বার্তা দেওয়া হয়।
এছাড়াও, রাজবাড়ী, বরিশাল, পিরোজপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, শেরপুর, কুমিল্লা ও ঢাকা মহানগরের চকবাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায় নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার দায়ে ৯টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ২১টি মামলার মাধ্যমে এক লাখ পাঁচ হাজার পাঁচশ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং সমগ্র দেশে আনুমানিক ২ হাজার ৩৮৭ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করা হয়।
অপরদিকে, আজ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, ঢাকা নিয়ন্ত্রাধীন ভাওয়াল রেঞ্জের ভবানীপুর বিটের সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই অভিযানে মোট ৩ একর সংরক্ষিত বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়, যেখানে অবৈধভাবে নির্মিত দ্বিতল ভবন, দোকানপাটসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় মোট ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়, যার বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকা।