নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিষখালী নদীতে চলছে ইলিশ শিকার
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালী নদীতে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের চোখের সামনে ইলিশ ধরার উৎসব চলছে। ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় ১৩ অক্টোবর থেকে টানা ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিহরন, মজুদ, বাজারজাত ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও রাজাপুর উপজেলা মৎস্য বিভাগের নেই তেমন কোন সফলতা। কিন্তু সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে জেলেরা এ নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইলিশ শিকার করছে। অভিযানে মৎস্য কর্মকর্তাদের সুবিধা নিয়ে জেলেদের ইলিশ শিকার করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বাদুরতলা বিষখালী নদীতে ৩০ থেকে ৪০টি নৌকা নিয়ে জেলেরা অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ শিকার করছে। বিষয়টি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম কুমারকে জানালে তিনি নদীতে অভিযানে থাকা ইনুমারেটর জহিরুল ইসলামকে পাঠালে তিনি এসে জেলেদের মাছ ধরা দেখেও কোন ব্যববস্থা না নিয়ে চুপচাপ ছিলেন। তার চোখের সামনেই জেলেরা অবাধে ইলিশ নিধন করছে।
বিষখালি নদীর হদুয়া, চল্লিশকাহনিয়া, বড়ইয়া ও পালট এলাকায় অভিযান পাহাড়া দিয়ে ইলিশ নিধন করা হচ্ছে। এসব এলাকায় স্পিডবোর্ড ও ট্রলার নিয়ে রাজাপুর মৎস্য বিভাগ নামকাওয়াস্তে অভিযান পরিচালনা করে লোক দেখানো। তাদের সামনেই নৌকা নিয়ে জেলে ও মৌসুমী জেলেরা নদীতে নেমে ইলিশ শিকার করছে। বিভিন্ন পন্থায় তা দালাল ও ফড়িয়াদের মাধ্যমে ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে রাজাপুর মৎস্য অফিসের আরিফের বিরুদ্ধে বিষখালী নদীর রাজাপুর অংশ ২২ দিনের জন্য অসাধু জেলেদের কাছে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। আরিফ বহু বছর যাবৎ রাজাপুর মৎস্য অফিসে কর্মরত। সকলের বদলী হলেও আরিফের বদলী নাই।
স্থানীয়রা জানান, মৎস্য অফিসের অভিযানের ট্রলার নদীতে নামে মাত্র চলে তারা কোন জেলেদের ধাওয়া দিয়ে ধরার চেষ্টা করে না। স্পিডবোর্ড তো দেখানোর জন্য ট্রলারের পিছনে বেঁধে রেখে দেয় তেল খরচ হবে সেই কারণে ব্যাবহার করছে না। এরকম প্রতিদিন ও রাতে মৎস্য কর্মকর্তাদের চোখের সামনে ৩০ থেকে ৪০টি নৌকায় জেলেরা ইলিশ শিকার করছে। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, ইলিশ রক্ষায় যথাযথভাবে অভিযান অব্যাহত আছে।
এবিষয়ে নদীতে অভিযানে দায়িত্বে থাকা জহিরুল ইসলাম বলেন, তৈল না থাকায় স্পিডবোর্ড ব্যাবহার করতে পারি নাই। ট্রলারের যতটা দ্রুত চালানো যায় চালিয়ে এসে ৪টি জাল জব্দ করেছি। নদীর একপারে জাল জব্দ করে নদী থেকে তুলছি অন্য পারে জেলেরা মাছ ধরছে এখন এই জাল ফেলে ওপার গেলে তখন আবার ওই জাল জেলেরা নিয়ে যাবে।
রাজাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম কুমারকে বলেন, ইলিশ রক্ষায় অভিযান অব্যাহত আছে। তবে
১৮ দিনের অভিযানের মধ্যে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।