ডার্ক মোড
Sunday, 05 January 2025
ePaper   
Logo
নিউইর্য়কে ৫৩তম মহান বিজয় দিবসে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ’

নিউইর্য়কে ৫৩তম মহান বিজয় দিবসে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ’

যুক্তরাষ্ট্র ব্যুরো

নিউইর্য়ক এ ৫৩তম মহান বিজয় দিবসে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার সন্ধায় নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় ‘ শাহী কিচেন পার্টি হলে “ মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ “ অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজনের শুরুতেই বাংলাদেশের মহান স্হপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।নিউইয়র্কে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজনে ও ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন নর্থ আমেরিকা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ভেটারান্স ১৯৭১, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ,যুক্তরাস্ট্র শাখা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ ।এবং পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল খান আনসারী। আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন। “ মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আলোচনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারন পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন জেমোএেট নেতা মুর্শেদ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রথীন্দ্র নাথ রায়,বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি, বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশীদ আনোয়ার বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন হিরু,বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহমদ,,কবি হাসান আল আব্দুল্লাহ,টি মোল্লা এবং ফুয়াদ প্রমুখ।

মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের বক্তারা বলেন মহান বিজয় দিবসে আমরা স্মরন করি ১৯৭১ সালের রক্তাক্ত ইতিহাস,দীর্ঘস্বাশের ইতিহাস,মর্মান্তিক যুদ্ধের ইতিহাস এবং মৃত্যুর ইতিহাস যা আমাদের বিজয়ের পথে ধাবিত করেছিলো। এই রক্তাক্ত বিজয় কে ধরে রাখতে হলে আমাদেরকে প্রতি মূহুর্তেই সজাগ থাকতে হবে। বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গিকার হোক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সততা মমতা, দেশপ্রেম ও দক্ষতা দিয়ে মাতৃভূমি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সভাপতির ভাষনে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ বলেন,১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জিত হয়। বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে সন্মানের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় শুধু বাঙালীর রাজনৈতিক বিজয় নয়,বাঙালীর হাজার বছরের বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিজয় তথা মাতৃভাষার বিজয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশীদ আনোয়ার বাবলু বলেন,বাংলাদেশের সর্বস্তরে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠিত হলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা কায়েম করা সম্ভব। বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি বলেন,১৯৭১ সালের ৩০ লক্ষ তাজা প্রানের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। বাংলার আপামর মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কায়েম করতে পারলেই শহীদের আত্মার প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা সম্ভব।

মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আমেরিকার প্রতিনিধি মিথুন আহমদ, অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক সঙীত পরিবেশন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, সঙীত শিল্পী আল আমিন বাবু এবং কন্ঠশিল্পী স্বর্না ও লতা প্রমুখ শিল্পিবৃন্দ। আলোচনা সভার শুরুতে মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬২, ৬৪ এর ৬ দফা, এগারো দফা শিক্ষা আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলন, ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান, আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ই আগষ্ট, ২১শে আগস্ট, ৩রা নভেম্বরের নিস্ঠুর হত্যাকান্ড এবং স্বৈরাচার বিরোধী এবং সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আত্মত্যাগী বীর এবং সম্ভ্রমহারা ২ লক্ষাধীক মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শেষে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন