নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনেই বিএনপি’র প্রার্থী বেশি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ
চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজ ও সুবিধাবাদিরা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে হাট-ঘাট, মাঠ, পুকুর, নদীর খেয়াঘাট, শহরের ফুটপাত ও পরিত্যক্ত সরকারি যায়গা দখলে ব্যস্ত। মধ্যমসারির নেতারা ব্যস্ত নিজেদের পদ-পদবি ও অবস্থান নিয়ে। প্রথম সারির নেতারাও বসে নেই। তারা শুয়েবসে আপেল-আঙুর খাওয়ার তালে আছেন! বিএনপি-জামায়াতের নেতারা প্রচন্ড মাথা ঘামাচ্ছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। তাদের টার্গেট নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসন। এমন বিশ্লেষন রাজনৈতিক অঙ্গনের বোদ্ধামহলের।
প্রথমদিকে শুধু রাজনীতির মাঠে দেখা গিয়েছিল সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জামায়াতের প্রবীণ নেতা মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ, এড. সাখাওয়াত হোসন খান , এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আড়াইহাজারের নজরুল ইসলাম আজাদ, রূপগঞ্জের দীপু ভূঁইয়া ও সোনারগাঁয়ের বদলি মান্নানকে। মাঝে মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদরে সাবেক এমপি এড.আলহাজ আবুল কালামকে। রাজনৈতিক অঙ্গনে তখন আলোচনা চলতো তাদের নিয়ে। সেই প্রেক্ষাপট ধীরে ধীরে বদলে গেছে এবং যাচ্ছে।
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনে কারা নির্বাচন করবেন ? এমন প্রশ্নের সহজে কেউ দিতে পারবেনা। কারণ একাধিক। দীর্ঘদিন দলীয় রাজনীতির বৃত্তের বাইরে অবস্থানকারী মজে যাওয়া বা মরচে ধরে যাওয়া নেতাজী দেখালেন কারিশমা। নিজেকে ঘষে মেজে ঝকঝকে তকতকে বানিয়ে কোন এক উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপঢৌকন দিয়ে বিশাল শোডাউন করে বুঝিয়ে দিলেন তিনিও আগামী নির্বাচনে বেলতলায় যাবেন।
এদিকে, বিএনপি’র অনেক নেতাই সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতী নিচ্ছেন। এদের মধ্যে মধ্যম সারির নেতার সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় মাঠে ছিলেন এমন নেতারাতো প্রথম সারির নেতাদের মুন্ডুপাত করতে ছাড়েন না। তাদের সমালোচনা ও করেন। বলে থাকেন, তারা বড় নেতা। বাড়িতে শুয়ে বসেই থাকেন। রাজপথে এবার আমরা লড়াই করেছি। ছাত্র-জনতা লড়াই করেছে। বড় নেতাদের তেমন কোন ভূমিকা নাই। অতএব, এবার হবে আসল লড়াই।
এবারের সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেকটি আসনেই বিএনপি’র একের অধিক প্রার্থীর দেখা মিলবে। এ নিয়ে গ্রুপিংলবিং চলবে। কিছু নেতা এখনি লবিং শুরু করে দিয়েছেন। লবিংয়ের ক্ষেত্রেও প্রতিযোগীতা অনিবার্য। কেউ তারেক রহমানের লবিং। কেউ দলের চেয়ারপানসনের লবিং। কেউবা মহাসচিবের লবিং। ফলে হরেক রকম নেতা এবার নির্বাচনে শামিল হবেন। যা প্রতিযোগীতার মাত্রা ছাড়িয়ে গোলযোগে রূপ নিলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবেনা।
আগস্ট থেকে জানুয়ারী। পাঁচ মাসে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক কিছুই ঘটে গেছে। প্রথমে পুরো চিত্রটা বোঝা যায়নি। কারন সেটা ছিল অস্পষ্ট ও টুকরো টুকরো। ৫ আগস্টের পর মাঠ থেকে নিষ্ক্রান্ত হয় আওয়ামীলীগ। প্রভাবশালীরাতো বটেই, ক্ষুদ্ররাও অনেকে বোরকা টোরকা ব্যবহার করে লাপাত্তা হয়েছে।
তখন রাজনীতির মাঠ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের দখলে। মূলত: দখল নয় ওরা তখনো অবস্থান করছিল। বিএনপি-জামায়াত ছিল ছাত্রদের সাথে। একমাসের মধ্যেই রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকে। আন্দোলন সফল হওয়ার পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মাঠ ছেড়ে দেয়। এই সুযোগটির অপেক্ষায় ওৎঁপেতে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা পুরোদমে মাঠ দখলের প্রতিযোগীতায় নামে। বিভিন্ন সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার নিরলস চেষ্টা করছে এখনো।
প্রথম টার্গেট যায় নগরীর রাজপথে। এরপর ফতুল্লার বিসিক, বিকেএমইএ এবং বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন শিল্প এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করে বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এ সকল সেক্টরে এখনো