ডার্ক মোড
Thursday, 03 July 2025
ePaper   
Logo
নাঃগঞ্জে সোয়া কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি  ও থ্রি-পিসের চালানসহ আটক এক

নাঃগঞ্জে সোয়া কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি-পিসের চালানসহ আটক এক

 স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ 

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চোরাই পথে আসা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি-পিসসহ মো. মিকাইল হোসেন হরফে রয়েল (৩১) নামে একজনকে আটক করেছে র‌্যাব।শনিবার (৩১ মে) গভীর রাতে উপজেলার মদনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি করে অবৈধ শাড়ি ও থ্রি-পিসের এই চালান জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা। আটক মিকাইল হোসেন রয়েল যশোর জেলার মনিরামপুর থানার পলাশী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তবে তিনি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানা এলাকায় বসবাস করেন।

 

রোববার (১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১ ব্যাটেলিয়নের অপস্ অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ।

 

র‌্যাব জানায়, শনিবার রাতে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে অবৈধভাবে আনা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি-পিসের বড় একটি চালান কাভার্ডভ্যানে করে কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আনা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ ব্যাটেলিয়নের একটি আভিযানিক দল অভিযানে নামে। বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি শুরু করে তারা।

  র‌্যাব আরও জানায়, তল্লাশির একপর্যায়ে সন্দেহজনক একটি কাভার্ডভ্যানকে থামার সংকেত দিলে চালক মো. মিকাইল হোসেন ভ্যানটি থামিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় র‌্যাব ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করে। পরে কাভার্ডভ্যানটি তল্লাশি করে অবৈধ ৩ হাজার ৯৭১ পিস ভারতীয় শাড়ি এবং ৩৫৪ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস জব্দ করা হয়। তবে এসব বিদেশি পণ্যের বৈধ কোনো চালান দেখাতে পারেনি চালক মিকাইল হোসেন রয়েল।

 র‌্যাব আরও জানায়, মিকাইলকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে চোরাকারবারির কথা স্বীকার করে। জব্দ শাড়ি ও থ্রি-পিসগুলো ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছে বলে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। জব্দ ভারতীয় শাড়িগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ও থ্রি পিসগুলোর মূল্য ২২ লাখ টাকা।

 মিকাইলের ভাষ্য মতে, কাভার্ডভ্যানটির মালিক আরিফ মজুমদার। মিকাইল গত সাত থেকে আট  মাস ধরে মাসিক বিশ হাজার টাকা বেতনে কাভার্ডভ্যানটির চালক হিসেবে কর্মরত আছেন। আরিফ মজুমদারের ম্যানেজার খোরশেদসহ আর ও বেশ কয়েকজন এই চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত। গত ৩১ মে বিকেলে আরিফ মজুমদারের লোকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার কাঠেরপুল সীমান্ত এলাকা থেকে পণ্যগুলো কাভার্ডভ্যানে লোড করে দেয় এবং একটি অজ্ঞাত প্রাইভেটকার পাহারায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। কাভার্ডভ্যানের মালিক আরিফ মজুমদার ও ম্যানেজার খোরশেদসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন দীর্ঘদিন ধরে এই চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।

 

এ ঘটনায় আটক কাভার্ডভ্যানের চালক মিকাইল হোসেন রয়েলসহ চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত পলাতক আরিফ মজুমদার, তার ম্যানেজার খোরশেদ ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ।

##

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন