নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে জমকালো পিঠা উৎসব
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের আয়োজনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরে অবস্থিত কলেজটির মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ।
এমপি আব্দুল ওদুদ জানান, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। কলেজের পিঠা উৎসব দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। এ ধরনের আয়োজন আগামীতেও অব্যাহত থাকুক বলে মনে করেন তিনি।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মোট ৪০টি স্টলে ৫০ রকমেরও বেশি পিঠা দেখা যায়। আশাপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী আর উৎসুক জনতার ভিড়ে গমগম করছিলো কলেজ মাঠ। কনকনে শীতের সকালে খেজুরের রস, গুড়ের রস দিয়ে বানানো বাহারি রকমের ভিন্ন স্বাদের পিঠা বিক্রি হচ্ছিল বেশ। প্রত্যেক স্টলের টিম লিডারের নেতৃত্বে জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছিল এসব পিঠা। ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৭০ টাকা মূল্যের পিঠাও দেখা যায় স্টলে।
নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে তিনজনের বিচারক কমিটি গঠন করা হয়। তারা কলেজ মাঠের সবগুলো স্টল পরিদর্শন করে বাহারি রকমের পিঠা পেয়েছেন। তন্মোধ্যে ইংরেজি বিভাগের প্রপোজ পিঠা, ইতিহাস বিভাগের সতিন মোচড় পিঠা, গণিত বিভাগের পাই পিঠা, নৌকা পিঠা, সুন্দরি পাটি সাপট পিঠা উল্লেখযোগ্য।
প্রথমবারের মতো এ পিঠা উৎসবে ৫০টির বেশি ধরনের পিঠা বানিয়েছেন এ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এখানে পিঠার পাশাপাশি পায়েস-ক্ষিরও এনেছেন তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মাজহারুল ইসলাম তরু শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতায় মুগ্ধ হয়ে বলেন, কলেজের আয়োজনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীরা উৎসবে মেতেছে। স্থানীয়রাও আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে কলেজে উপস্থিত হয়ে স্টল থেকে পিঠা কিনে খাচ্ছেন। অপ্রচলিত ভিন্ন স্বাদেও পিঠা খেয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের অনেকেই পিঠাপুলির স্বাদ পায় না,তাদের পিঠাপুলির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই আমাদের এ আয়োজন। আগামীতেও আমরা এর ধারাবহিকতা রাখব।