
নতুন করে সংবিধান লেখার সুযোগ নেই: ঐকমত্য কমিশনকে গণফোরাম
স্টাফ রিপোর্টার
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে সংবিধানের প্রস্তাবনা পরিবর্তনের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে গণফোরাম।
দলটির নেতারা বলছেন, ঐকমত্য কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন সংবিধান থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ঘোষণা বাদ দিতে চাচ্ছে’, এটা হতে পারে না। নতুন করে সংবিধান লেখার ‘কোনো সুযোগ নেই’। আর নির্বাচিত সরকার ছাড়া কেউ সংবিধান সংশোধনও করতে পারে না।
জাতীয় সংসদের এলডি হলে শনিবার বিকাল ৩টায় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণফোরামের সংলাপ শুরু হয়, শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টার পর। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির ১১ সদস্যেরে প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন।
সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, “উনারা (ঐকমত্য কমিশন) কিন্তু আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনা পরিবর্তন করতে চাচ্ছে, একে তারা বলছে সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে। আমরা এটার চরমভাবে বিরোধিতা করেছি।
“আরেকটা জিনিস, প্রস্তাবনা পরিবর্তন করা যায় না। তারা আমাদের সংবিধানের ১৫০ অনুচ্ছেদ বাতিল করতে চায়, ১৫০ অনুচ্ছেদে কী আছে? এটা আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ।”
জগলুল হায়দার বলেন, “আমাদের পঞ্চম তফসিলে ৭ই মার্চের কথা বলা আছে, ৭ই মার্চ বাদ দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা বিবেচনা করা যায় না। ষষ্ঠ তফসিলে বলা আছে স্বাধীনতার ঘোষণা, স্বাধীনতার ঘোষণা আমাদের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে, স্বাধীনতার ঘোষণার জন্যই ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। তারা এই স্বাধীনতার ঘোষণা বাতিল করতে চায়। আমরা এর চরম বিরোধিতা করেছি।”
তিনি বলেন, “তার পরে সপ্তম তফসিলে বলা আছে প্রোক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স, ১০ এপ্রিল যে প্রবাসী সরকার গঠন করা হয়েছে এই প্রোক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স দিয়েই, মুক্তিযোদ্ধারা কাজ শুরু করল, যুদ্ধ শুরু করল। প্রোক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স বাদ দিলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বাদ দিলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ থাকে কোথায়?
“সংবিধান নতুন করে লেখা যাবে না। যে সংবিধান লাখ লাখ শহীদের রক্তের রঞ্জিত, যেই সংবিধান হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছে, সেটাকে নতুন করে লেখা যাবে না। ড. কামাল সাহেবও বলেছে জন আকাঙ্ক্ষার কারণে আমরা সংবিধানের কিছু অংশ সংশোধন করতে পারি। পরিবর্তন করা যায়, কিন্তু নতুন করে লেখা যায় না “