
থানায় অভিযোগ করেও মিলছেনা প্রতিকার" হুমকির মুখে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের পরিবার
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রতিবেশির বাড়ির পাকা সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়ার পাশাপাশি কোটি টাকা মূল্যের একটি পাকা ভবন ভাঙনের মুখে পড়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার (৩০ মে) উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদনগর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। উল্টো প্রতিপক্ষের লোকজনের হুমকিতে অবরসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সিরাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদনগর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মাইন উদ্দিন চার বছর আগে তাঁর বাড়ির সীমানায় একটি পাকা দেওয়াল (প্রাচীর) নির্মাণ করেন। বছর খানেক আগে সীমানা প্রাচীরের পাশ্ববর্তী জমির মালিক নাছির উদ্দিন তাঁর প্রাচীর ঘেঁষে পুকুর খনন করে। তিনি প্রতিবাদ করেন এবং সীমানা প্রাচীর থেকে অন্তত: ১০ ফুট দূরে পুকুর খনন করার অনুরোধ করেন। এতে তাঁর সীমানা প্রাচীর অনেকটা হুমকির মুখে পড়ে।
মাইন উদ্দিন অভিযোগ করেন, গত ৩০ মে প্রতিপক্ষ তাঁর সীমানা প্রাচীর ঘেঁসে অপরিকল্পিত পুকুর খনন করে। পুকুর পুণরায় খনন আরো গভীর করে খনন করেন। এতে তাঁর সীমানা প্রাচীরের একটি বিশাল অংশ ভেঙে পুকুরের মধ্যে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে সীমানা প্রাচীর সরে যাওয়ায় প্রাচীরের ভেতরে তাঁর কোটি টাকা খরচ করে তৈরী করা নতুন পাকা ভবন বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবু নাছের বলেন, তিনি সেখানে দীর্ঘদিন ধরে মাছের খামারের ব্যবসা করছেন। তিনি খামার করার অনেক পরে মাইন উদ্দিন বাড়ির সীমানা প্রাচীর করেছেন। তিনি প্রাচীর নির্মাণ করার সময়ই পুকুরের কিনার ঘেঁষে প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। তা ছাড়া তিনি প্রাচীরের ভেতরের অংশ খনন করে পাইপ বসিয়েছেন। এতে প্রাচীর ভেঙে তাঁদের খামারের পুকুরে পড়েছে। তিনি এখন বিষয়টি নিয়ে অপপ্রাচার চালাচ্ছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে পুকুর খনন এবং পুকুরে প্রাচীর ভেঙে পড়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ বিষয়ে আদালতে একটি নন-এফআইআর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন।