তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ ক্লাস টাইমে জুয়া খেলেন বিমল চন্দ্র দাস
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিমল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে কলেজ চলাকালিন সয়ম জুয়া খেলাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,অধ্যক্ষ বিমল চন্দ্র দাস কলেজের পিছনে অনেকখানি জায়াখা বালুভরাটের নামে মুজিব গংদের নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি তার ব্যাচের নারী কলিগদের নিয়ে স্টাফ রুমে বসে জুয়া খেলেন। এ ছাড়াও তার জুয়া ও সিগারেটের পার্টনার হলেন মুজিবুর,আনারুল,ও বসার।
সকল লাভজনক কমিটি ও ভর্তি কমিটির দায়িত্বে তিনি মুজিব গংদের ও নারী কলিগদের দেন। তিনি একেক নারী কলিদেরকে ডেকে বলেন তার বাড়িতে গিয়ে থাকবে। তারপরে ১৫থেকে ১৬ জন নারী-পুরুষ মিলে কলিগদের নিয়ে একেক বাড়ী এক এক দিন গিয়ে খাসী জবাই ও বার বি কিউ করে প্রমোদভ্রমন করে।
বিভিন্ন সময় তার রুমে নারী কলিগদের সাথে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে কথা বলে কিন্তু প্রিন্সিপাল বলে তাকে কেউ কিছু বল্রা সাহস পায়না। এ ছাড়াও তিনি আসবাবপত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর অনুসরণ না করেই টেন্ডারে অনিয়মের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। কলেজে ব্যবহারিত মালামাল অকেজো দেখিয়ে ট্রাকনিক্যাল কমিটির মতমত না নিয়ে বিক্রি করছেন এবং সেই অর্থ রাষ্ট্রিয় কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাত করছেন। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের কাজ থেকে এবং প্রসংসা পত্র দেয়ার নামে রিসিড না দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা।
বোর্ড থেকে নির্ধারিত টাকার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের কাজ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও মজিবর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একাডেমিক ক্যালেন্ডার ছাপানোর নামে টাকা বাগবাটোয়ারা করে নেয়া হয়েছে।
এ সব অভিযোগের বিষয় অধ্যক্ষ অধ্যাপক বিমল চন্দ্র দাসের কাছে ফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আপনার কাছে কি প্রমান আছে? প্রতিবেদক তাকে ভিডিও ফুটেজ আছে বললে। তিনি বলেন সেখানে কী টাকা দিয়ে তাস খেলি দেখা যায়? এরপর তিনি বলেন, আমাদের এখানে তাস খেলার বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগীতা হয়। এ জন্য মাঝে মধ্যে তাস খেলতে হয়।