তুরস্ক কীভাবে পরিস্থিতি সামলেছিল, বিএনপির সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১৬ সালে তুরস্কে এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর দেশটির অনেক রাজনীতিক, আমলা, বিচারক দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। সে পরিস্থিতিতে তারা কীভাবে বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সামলেছেন, সেসব বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছে দেশটির একটি প্রতিনিধি দল।
গতকাল বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রতিনিধিদল এ অভিজ্ঞতা বিনিময় করে। এতে ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
গণ–অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া পতিত শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যসহ ফৌজদারি অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়েও কথা হয় এতে।
তুরস্কভিত্তিক সংগঠনটির উচ্চপর্যায়ের এই প্রতিনিধিদলে দেশটির প্রধান আইনজীবী, সংসদ সদস্য, তুরস্কের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রয়েছেন।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কে কিছু কিছু জায়গায় মিল আছে। সেখানে চক্রান্ত (এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে) হয়েছিল, বাংলাদেশে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে গণ–অভ্যুত্থানে। সেখানেও চক্রান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর দেশটির রাজনীতিবিদরা পালিয়েছে, সরকারি কর্মকর্তারা পালিয়েছে। এখানেও অপরাধী অনেকে পালিয়ে গেছে।