টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে তাড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল
তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
গত ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে দাওয়াতে তাবীলগ ও আলেম-ওলামাদের ওপর সাদপন্থীদের অতর্কিত হামলায় জড়িত সন্ত্রাসী খুনী সা’দপন্থীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ইমাম-উলামা পরিষদ, দাওয়াতে তাবলীগের সাথী ও ইসলামী তৌহিদী জনতার আহ্বানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল ও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২২ ডিসেম্বর (রবিবার) সকাল ১০টা থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিলে মিছিলে তাড়াইল-সাচাইল দারুল হুদা কাছেমুল উলুম মাদরাসা মাঠে জড়ো হয় দাওয়াতে তাবলীগের সাথী, বিভিন্ন মাদ্রাসার আলেম-উলামা ও সাধারণ জনতা। পরে বেলা ১১ ঘটিকায় কয়েক হাজার মানুষের সমন্বয়ে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে তাড়াইল সদর বাজার ঘুরে আবারো মাদ্রাসা মাঠে মিলিত হয়।
ইমাম-উলামা পরিষদ তাড়াইল উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন সাহেবের সভাপতিত্বে ও ইমাম-উলামা পরিষদ তাড়াইল উপজেলা শাখার শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা লুৎফুর রহমান সাহেবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, দাওয়াত ও তাবলীগের তাড়াইল উপজেলা জিম্মাদার মুফতি শহিদুল্লাহ, কিশোরগঞ্জ তাবলীগের মারকাযের মুরুব্বী ও টঙ্গী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ইমাম-উলামা পরিষদ তাড়াইল উপজেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা সাদেকুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হাই, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আহমাদ, মাওলানা আব্দুর রহিম, ইমাম-উলামা পরিষদ তাড়াইল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জুবায়ের আহমাদ, মাওলানা ফখরুদ্দীন, মাওলানা আইনুল ইসলাম, তাড়াইল উপজেলা মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, মাওলানা এনামুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ তাড়াইল উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক মাওলানা শাহজাহান, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা এনায়েতুল্লাহ, বিএনপি নেতা সামির হোসেন সাকী, সারোয়ার আলম, ওমর ফারুক প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে অতর্কিত হামলায় নিহত ও আহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের ফাঁসির দাবী করেন। সাথে তাড়াইল উপজেলার সা’দ পন্থীদের তওবা করে সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান। তাছাড়া বাংলাদেশে সা’আদপন্থীদের সকল কার্যক্রম আজীবনের জন্য নিষিদ্ধের দাবী জানান।
বক্তারা বলেন, শুরায়ী নেজামের দাওয়াতে তাবলীগের সাথীদের ঘুমন্ত অবস্থায় সা’দ বাহিনীর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারপিটের দৃশ্য ও খুন ও জখমের ভয়াবহ চিত্র দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার হয়েছে যে, এটা তাদের পূর্বপরিকল্পিত। দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা, ইসলাম ও দাওয়াতে তাবলীগ তথা বিশ্ব ইজতেমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
বক্তারা আরো বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরও তারা এমন আক্রমন করে হতাহত করেছিল। সা’দপন্থীরা মূলত আওয়ামীলীগ, ইন্ডিয়ার র ও ইসরায়েলের দালাল। তারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এজন্য তাদেরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা এবং তাড়াইল উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রতিটি মসজিদে তাদের সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণার জোর দাবীও জানানো হয়।