ঝিনাইগাতী সীমান্তে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে আবারও শুরু হয়েছে বন্য হাতির তাণ্ডব
শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়িগ্রামগুলোতে আবারো শুরু হয়েছে বন্য হাতির তান্ডব। গত ৩ দিন থেকে এ তান্ডব শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় প্রতিরাতেই চলছে বন্যহাতি তান্ডব।
বন্যহাতির দল দিনে গভীর অরণ্যে আশ্রয় নিচ্ছে। সন্ধ্যা ঘনি আসার সাথে সাথে বন্য হাতির দল খাদ্যের সন্ধানে নেমে আসছে লোকালয়ে। খেতের আধপাকা ধান খেয়ে সাভার করে চলেছে।
কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্দিগাঁও নওকুচি,বাকাকুড়া, গরুচরন দুধনই তাওয়াকোচা এলাকায় চলছে বন্য হাতির তান্ডব। গত শনিবার রাতে হাতির দল পাহাড় থেকে নেমে গান্ধীগাঁও গ্রামের ধান খেতে হানা দেয়। কৃষকদের ৫ একর জমির ধান খেত খেয়ে সারার করে দেয় বন্য হাতির দল।
এসময় গ্রামবাসীরা মশাল জ্বালিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে সব্দ করে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে। হাতি দেখতে রাতে উৎসুক জনতা ভীড় করে। বর্তমানে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি গ্রামগুলোতে হাতি আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলী বেগম, রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিমসহ এলাকার শত-শত মানুষ হাতি তাড়ানোর কাজে সহায়তা করেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট হাতি তাড়াতে মশালে ব্যবহারের জন্য তেলের দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়া স্থানীয় গ্রামবাসীদের কেরোসিন তেল ও টসলাইট বিতরণের আশ্বাস দেন।