ডার্ক মোড
Sunday, 03 August 2025
ePaper   
Logo
জুলাই অভ্যুত্থানে শিবিরের নির্দেশে কাজ করার তথ্য মিথ্যা: নাহিদ ইসলাম

জুলাই অভ্যুত্থানে শিবিরের নির্দেশে কাজ করার তথ্য মিথ্যা: নাহিদ ইসলাম

নিজ্বস প্রতিনিধি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা থেকে একক নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময়ে শিবিরের নেতৃত্বে কাজ করার তথ্যকেও ‘মিথ্যাচার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, শিবির নেতা সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটি টকশোতে বলেছেন, ছাত্রশক্তির গঠনপ্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল। শিবিরের নির্দেশে আমরা কাজ করতাম— এটা মিথ্যাচার।

‘সাদিক কায়েম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিলেন না। কিন্তু ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় তিনি ব্যবহার করেছেন। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাদিক কায়েমকে প্রেস ব্রিফিংয়ে বসার সুযোগ দেওয়া হয়।’

অভ্যুত্থান শিবিরের একক ছিল না দাবি করে তিনি বলেন, ‘সাদিক কায়েমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ঢালাও প্রচারণা চালিয়েছে যে, এই অভ্যুত্থানে ঢাবি শিবিরই নেতৃত্ব দিয়েছে, আমরা শুধু সামনে পোস্টার ছিলাম। অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করেনি। কিন্তু এই অভ্যুত্থান শিবিরের একক ছিল না, শিবিরের নির্দেশ বা নেতৃত্বও ছিল না। আমরা সব পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেই সিদ্ধান্ত নিতাম। আর কারা ক্ষমতার ভাগ–বাঁটোয়ারা করতে চাইছে, গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে— সে বিষয়ে অন্যদিন বলব।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্রের সাথে জড়িত একটি অংশ এবং ঢাবি ছাত্র অধিকার থেকে পদত্যাগ করা একটি অংশ মিলে ছাত্রশক্তি গঠিত হয়। সঙ্গে জাবির একটি স্টাডি সার্কেলও যুক্ত হয়। একটি নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুবার আড্ডা পাঠচক্রে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা হয়েছে।

‘আমরা ক্যাম্পাসে আট বছর রাজনীতি করেছি। ফলে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব সংগঠন ও নেতৃত্বকে আমরা চিনতাম এবং সব পক্ষের সাথেই আমাদের যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল। সেই কারণে ঢাবি শিবিরের সাথেও যোগাযোগ ছিল। তবে যোগাযোগ, সম্পর্ক বা কখনো সহযোগিতা করা মানেই এই নয় যে তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল।’

আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি ইসলামী ছাত্রশিবির। তবে জামায়াতে ইসলামীর এ ছাত্র সংগঠন যে গোপনে সক্রিয় ছিল, তা প্রকাশ্যে আসে চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিক কায়েম ২১ সেপ্টেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি।

সমন্বয়কের তালিকায় নাম না থাকলেও জুলাই মাসে চলা ছাত্র আন্দোলনে সামনের কাতারেই ছিলেন সাদিক কায়েম। তালিকাভুক্ত সমন্বয়কদের সঙ্গে বিভিন্ন ছবিতেও তাকে সে সময় দেখা যায়।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠানে সাদিক কায়েম বলেন, ২০১৭ সাল থেকে লম্বা সময় ধরে যখন তার যে পদ ছিল, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমরা তা জানতেন।

সাদিক কায়েম বলেন, পরিচয় জেনে কো-অর্ডিনেশন করে আমরা সবাই মিলে একসাথে কাজ করেছি। সুতরাং এখানে পরিচয় গোপন করার কিছু নেই। ওই সময়ে পরিচয় ঘোষণা দিয়ে কাজ করার মতো পরিস্থিতি ছিল না। সে কারণে শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে ছিলাম, কিন্তু ঘোষণা দিয়ে কাজ করার মতো অবস্থা ছিল না। কারণ, আমাদের মেরে ফেলা বৈধ ছিল।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন