
জুলফিকার আহমদ কিসমতীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক, বহু গ্রন্থপ্রণেতা মাওলানা জুলফিকার আহমদ কিসমতীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার। অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় সাংবাদিকতা পেশায় প্রসিদ্ধ, মূল্যবান গ্রন্থের লেখক হিসেবে দেশ-জাতি ও ইসলামের সেবায় অবদান রেখেছেন মাওলানা কিসমতী। তার প্রথম কর্মজীবন *রু শিক্ষকতা দিয়ে।
তিনি বাংলাদেশ বেতার বহির্বিশ্ব কার্যক্রমের আরবি সংবাদ পাঠ-পর্যালোচক ও দৈনিক সংগ্রামের সিনিয়র সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য, বাংলা একাডেমির সদস্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সম্পাদনা পরিষদের সদস্য ও ফ্রাঙ্কলিন পাবলিকেশন্স প্রকাশিত প্রথম বাংলা বিশ্বকোষের অন্যতম প্রদায়ক ছিলেন।
‘আজাদী আন্দোলনে আলেম সমাজের সংগ্রামী ভূমিকা, ‘চিন্তাধারা, ‘এই সময় এই জীবন, ‘বাংলাদেশের সংগ্রামী ওলামা পীর-মাশায়েখ, ‘মহানবী সা:, ‘গণতন্ত্রের পহেলা শহীদ- শহীদে কারবালা, ‘আদর্শ কিভাবে প্রচার করতে হবে, ‘আল কুরআনের দৃষ্টিতে সমাজসেবা, শরিয়তি রাষ্ট্রব্যবস্থা, সোভিয়েত ইউনিয়নে মুসলমান, ‘উপসাগরীয় সঙ্কট, উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষা সংস্কৃতি ক্রমবিকাশের ইতিহাসসহ ৩০টির বেশি মূল্যবান গ্রন্থ রচনা ও অনুবাদ করেন তিনি।
নিরলস এ কর্ম সাধকের ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরবি বিভাগে এম ফিল ডিগ্রি- ‘মাওলানা জুলফিকার আহমদ কিসমতী : আরবি ও বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চা ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ উপস্থাপিত হয়। দেশের এই গুণী ব্যক্তিত্ব কুমিল্লা চৌগ্রিাম বাগৈগ্রাম মোক্তার বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। ১ঝ৩৫ সালে তিনি পাশের লালমাই সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন কিসমত চলু*া গ্রাম মাতুলালয়ে জন্ম লাভ করেন। ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড হসপিটালে কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন।
জুলফিকার আহমদ কিসমতীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রূহের মাগফিরাত কামনায় তার পরিবার, *ভাকাঙ্খী, *ভানুধ্যায়ীর পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।