ডার্ক মোড
Friday, 31 January 2025
ePaper   
Logo
চার দেশের কূটনীতিকের পরিচয়পত্র পেশ, বিনিয়োগ-বাণিজ্য বাড়াতে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

চার দেশের কূটনীতিকের পরিচয়পত্র পেশ, বিনিয়োগ-বাণিজ্য বাড়াতে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তৈরি পোশাক, হিমায়িত খাদ্যসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের পণ্যের আমদানি এবং বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে কাজ করার জন্য চার দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত লাওসের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং জাম্বিয়া, কেনিয়া ও সাইপ্রাসের অনাবাসিক হাইকমিশনাররা রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

এর আগে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।

প্রথমে লাওসের রাষ্ট্রদূত বাওমি ভ্যানমানি পরিচয়পত্র পেশ করেন। এরপর, কেনিয়ার হাইকমিশনার মুনিরি পিটার মাইনা, পরে জাম্বিয়ার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার পার্সি চান্দা এবং সবশেষে সাইপ্রাসের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার এভাগোরাস রায়োনাইডিস রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।

নতুন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বের সব দেশের সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ। পারস্পরিক সহাবস্থান ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সংকল্পবদ্ধ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে বিরাজমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি কেনিয়া, সাইপ্রাস, জাম্বিয়া ও লাওসের বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ সময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে রাষ্ট্রপতি দ্বিপাক্ষিক সরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গ্রিন টেকনোলজিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার এবং রাষ্ট্রদূতরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং নিজ নিজ দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানান। তারা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন