
খুঁড়িয়ে হাঁটা শিক্ষার্থীকে কাঁধে তুলে নিলো বিএনসিসি সদস্য
জবি প্রতিনিধি
বিল্ডিং থেকে নামার সময় সিঁড়ি থেকে পড়ে যান নুরে সাবা নামের এক ভর্তিচ্ছু। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন তিনি। আহত সাবাকে তাই কাঁধে তুলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিচ্ছিলেন বিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার।
শনিবার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ‘বি’ ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার দিন এমন দৃশ্য দেখা যায়।
শুধু সাবার ক্ষেত্রেই নয়, ভর্তিচ্ছু সব পরীক্ষার্থীর যেকোনো সমস্যার সমাধানে এভাবে এগিয়ে যান বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের সদস্যরা। কেউ দেরিতে কেন্দ্রে আসা শিক্ষার্থীদের হলে পৌঁছে দিতে দৌড়ান, কেউ আবার দেখিয়ে দিচ্ছেন রুম নম্বর ও বিল্ডিং।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী এসব সামাজিক সংগঠনের ভূমিকায় মুগ্ধ আহত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী নুরে সাবা। তিনি বলেন, বিল্ডিং থেকে নামার সময় সিঁড়ি থেকে পড়ে যাই। পায়ে অনেক বেশি আঘাত লেগেছে, ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলাম না। বিএনসিসির আপুরা কাঁধে করে নিয়ে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়েছি। বাকি চিকিৎসা পরে নেবো।
বিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী নাদিয়া বলেন, সাজিদ ভবনের বিল্ডিং থেকে নামার সময় সিঁড়ি থেকে সে পড়ে যায়। আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে এসেছি। পায়ে আঘাত লেগে অনেকটা ফুলে গেছে। আঘাত খুব বেশি গুরুতর কি না, তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে তার হাঁটতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
জবির বিএনসিসি ক্যাডেট ইনচার্জ সার্জেন্ট তৌফিক হোসেন বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার। সব ক্যাডেট অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। সবাইকে সাহায্য করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আমাদের বিএনসিসি, রোভার ও রেঞ্জার ইউনিটের সদস্যরা সবাই সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করছে। খুবই সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।