
কাপাসিয়ার হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে পাকা তাল, যাচ্ছে শহরে
আসাদুল্লাহ মাসুম কাপাসিয়া প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পাকা তাল সাধারণত শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে পাওয়া যায়। কাপাসিয়া তালের জন্য বিখ্যাত। উপজেলার ছোট-বড় বিভিন্ন হাটবাজারে পাকা তাল বিক্রি হচ্ছে। গ্রাম থেকে পাকা তাল সংগ্রহ করে হাটবাজারে আকারভেদে প্রতিটি তাল ১৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এলাকার রাস্তা-ঘাট পুকুরের পাড়, বাড়ির আঙিনা ও পতিত জমিতে প্রচুর তাল গাছ জন্মে থাকে। বেড়ে উঠার জন্য তালগাছকে তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয় না। গরু ছাগল ও গাছটির কোন ক্ষতি করতে পারে না। ফলে এলাকায় এ সময় প্রচুর পাকা তাল পাওয়া যায়। আর ওই পাকা তাল এখন বানিজ্যিক ভাবে বিক্রি হচ্ছে শহরে।
উপজেলার আমরাইদ বাজারে বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষজন তাল নিয়ে আসেন বিক্রি করতে। এ-ই বাজারে পাইকারি ও খুচরা ক্রয় বিক্রয় হয় তাল। আমরাইদ বাজার থেকে পাইকাররা তাল পিকআপ ভর্তি করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কিশোরগঞ্জ নিয়ে বিক্রি করেন।
জানা যায়, এখন গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরে তালের কদর বেড়েছে। এ সময় গৃহস্থদের বাড়ি বাড়ি জামাই ও আত্নীয়-স্বজনকে বিভিন্ন পিঠা-পুলি, খিরসা, পায়েস তৈরি করে খাওয়ানো হয়। ব্যবসায়ী কাদির জানান, স্থানীয় ভাবে পাকাতাল আকারভেদে প্রতি পিছ ৫টাকা থেকে ২০ টাকায় কিনে শহরে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। গ্রামে ঘুরে গাছে রক্ষিত তাল কিনতে পারলে লাভ আরও বেশি হয়।
এখন আগের মত আর পাকা তাল পাওয়া যায় না। গ্রীষ্মে প্রচুর তাল শাস বিক্রি হওয়ায় পাকা তাল এখন পরিমাণে কম। যা আছে তা মহাজনরা গাছ ধরে কিনে নিয়ে শহরে বিক্রি করে। বড়হর গ্রামের রহমান জানান, বর্তমানে গুড়ের দাম বেশি হওয়ায় তালপিঠা তৈরির ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে আমাদের মত স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য কঠিন হয়ে পরেছে তালের পিঠা তৈরি করে খাওয়া।
একাধিক গৃহিণী জানান, পাকা তাল থেকে সুস্বাদু রস অতি যত্নে সংগ্রহ করা হয়। দুই হাতে শক্তি দিয়ে চেপে তালের রস বের করতে হয়। পরে এই রস ভালো করে আঁশমুক্ত করতে হয়। সংগৃহীত রসের সঙ্গে নারিকেল, চিনি বা গুড় এবং চালের গুঁড়ো বা ময়দা মিশিয়ে সুস্বাদু পিঠা তৈরি করা যায়। গরম তেলে ভেজে তালবড়া তৈরি করা যায়। সুজি, নারিকেল, চিনি বা গুড় মিশিয়ে খির তৈরি করা যায়। একইভাবে মালপোয়া ও পাটিসাপটাসহ অন্যান্য পিঠা তৈরি করা হয় তালের রস থেকে।
আসাদুল্লাহ মাসুম কাপাসিয়া প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পাকা তাল সাধারণত শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে পাওয়া যায়। কাপাসিয়া তালের জন্য বিখ্যাত। উপজেলার ছোট-বড় বিভিন্ন হাটবাজারে পাকা তাল বিক্রি হচ্ছে। গ্রাম থেকে পাকা তাল সংগ্রহ করে হাটবাজারে আকারভেদে প্রতিটি তাল ১৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এলাকার রাস্তা-ঘাট পুকুরের পাড়, বাড়ির আঙিনা ও পতিত জমিতে প্রচুর তাল গাছ জন্মে থাকে। বেড়ে উঠার জন্য তালগাছকে তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয় না। গরু ছাগল ও গাছটির কোন ক্ষতি করতে পারে না। ফলে এলাকায় এ সময় প্রচুর পাকা তাল পাওয়া যায়। আর ওই পাকা তাল এখন বানিজ্যিক ভাবে বিক্রি হচ্ছে শহরে।
উপজেলার আমরাইদ বাজারে বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষজন তাল নিয়ে আসেন বিক্রি করতে। এ-ই বাজারে পাইকারি ও খুচরা ক্রয় বিক্রয় হয় তাল। আমরাইদ বাজার থেকে পাইকাররা তাল পিকআপ ভর্তি করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কিশোরগঞ্জ নিয়ে বিক্রি করেন।
জানা যায়, এখন গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরে তালের কদর বেড়েছে। এ সময় গৃহস্থদের বাড়ি বাড়ি জামাই ও আত্নীয়-স্বজনকে বিভিন্ন পিঠা-পুলি, খিরসা, পায়েস তৈরি করে খাওয়ানো হয়। ব্যবসায়ী কাদির জানান, স্থানীয় ভাবে পাকাতাল আকারভেদে প্রতি পিছ ৫টাকা থেকে ২০ টাকায় কিনে শহরে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। গ্রামে ঘুরে গাছে রক্ষিত তাল কিনতে পারলে লাভ আরও বেশি হয়।
এখন আগের মত আর পাকা তাল পাওয়া যায় না। গ্রীষ্মে প্রচুর তাল শাস বিক্রি হওয়ায় পাকা তাল এখন পরিমাণে কম। যা আছে তা মহাজনরা গাছ ধরে কিনে নিয়ে শহরে বিক্রি করে। বড়হর গ্রামের রহমান জানান, বর্তমানে গুড়ের দাম বেশি হওয়ায় তালপিঠা তৈরির ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে আমাদের মত স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য কঠিন হয়ে পরেছে তালের পিঠা তৈরি করে খাওয়া।
একাধিক গৃহিণী জানান, পাকা তাল থেকে সুস্বাদু রস অতি যত্নে সংগ্রহ করা হয়। দুই হাতে শক্তি দিয়ে চেপে তালের রস বের করতে হয়। পরে এই রস ভালো করে আঁশমুক্ত করতে হয়। সংগৃহীত রসের সঙ্গে নারিকেল, চিনি বা গুড় এবং চালের গুঁড়ো বা ময়দা মিশিয়ে সুস্বাদু পিঠা তৈরি করা যায়। গরম তেলে ভেজে তালবড়া তৈরি করা যায়। সুজি, নারিকেল, চিনি বা গুড় মিশিয়ে খির তৈরি করা যায়। একইভাবে মালপোয়া ও পাটিসাপটাসহ অন্যান্য পিঠা তৈরি করা হয় তালের রস থেকে।