কর্ণফুলীতে প্রেম সংঘটিত জেরে হাসপাতালে হামলার ঘটনায় চার জনের বিরুদ্ধে মামলা
কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রেম সংঘটিত জেরে চট্টগ্রাম নগরীর ডক্টরস হসপিটালে রোগীর ওপর হামলার ঘটনার ৮দিন পর ৪ জনের নাম অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর ) চিকিৎসা শেষে হামলায় আহত খালেদা বেগম (৪৫) বাদী হয়ে চট্টগ্রাম চীপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এই মামলা করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, ইশতিয়াক প্রকাশ আয়ান (৩০),আকতার হোসেন (৬৭), মৌও আক্তার (২৬),মাহি আক্তার (২৭) সহ আরও ৪/৫ জন'কে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তারা সবাই শিকলবাহা ২নং ওয়ার্ড আলী সাহেবের বাড়ির স্থানীয় বাসিন্দা।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়,আসামি আকতার হোসেনের মেয়ে ফারিহা আক্তার নওশীন (১৭) এবং বাদীর ছেলে আব্দুল কাইয়ুম ফাহাদ (১৭) একই বিদ্যালয়ে পড়া শোনা করতেন,সেই শুভাতে দুইজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
১ অক্টোবর বাদী শারীরিক ভাবে গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ডক্টরস হসপিটালে ভর্তি হন,ঘটনার দিন ৭ অক্টোবর ভোরে বাদীর ছেলে আব্দুল কাইয়ুম ফাহাদের সাথে আসামি আকতারের মেয়ে ফারিহা আক্তার নওশীন পালিয়ে গেলে আসামির পরিবার বাদীর আত্মীয় স্বজনদের মুঠোফোনে কল দিয়ে তাদের মেয়ে'কে খোজে এনে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদর্শন করেন এবং বাদীর ছেলে আব্দুল কাইয়ুম ফাহাদ'কে পেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে বাদীর আত্মীয় পরিচয়ে ১নং আসামির নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিসহ অজ্ঞাত আসামিগণরা বেআইনি ভাবে বাদীর কেবিনে ডুকে দরজা বন্ধ করে আসামির মেয়েকে এনে দিতে বলেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এ-সময় চিকিৎসাধীন সুস্থ খালেদা বেগম তাদের বলেন "আপনাদের মেয়ে এইখানে নেয়,আমি অসুস্থ আজকে অনেকদিন ধরে হাসপাতালে আমি জানি না আপনাদের মেয়ে কোথায় বাদীর এমন উত্তরে আসামিগণ ক্ষীপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে বাদীর হাতে জখম করে, পরে বেশ কয়েকজন মিলে বাদীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর জখম করে,এসময় বাদীর সাথে থাকা তার এক নারী স্বজন'কে টেনে হেঁচড়ে শরীরের কাপড় ছিড়ে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন আসামিরা, এক পর্যায়ে বাদীর কাছে থাকা একটি স্মার্ট ফোনসহ মোট দুইটি মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে হামলাকারীরা বাদীর ছেলেসহ সবাই'কে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। পরে হামলায় আহত খালেদা বেগম চিকিৎসা শেষে মহামান্য আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত,দীর্ঘ ৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ককে বিয়েতে পরিণত করতে আসামি আকতার হোসেনের মেয়ে ফারিহা আক্তার নওশীন ও তার প্রেমিক বাদীর ছেলে আব্দুল কাইয়ুম ফাহাদ ৭ অক্টোবর ভোরে বিয়ার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়,পরে ঘটনার দিন রাতে নগরীর কোর্ট বিল্ডিং এলাকা থেকে তাদের ধরে মারধরের মাধ্যমে মেয়ের জবানবন্দি পরিবর্তন করে আব্দুল কাইয়ুম ফাহাদের নামের অপহরণ মামলা করেন আসামিরা।