
করোনা মহামারিতে বন্ধ থাকার পর ভ্রমণ ভিসা চালু বোনাপোলে
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
করোনা মহামারিতে বন্ধ থাকার পর ভ্রমণ ভিসা চালু হওয়ায় এবার ঈদে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে রেকর্ড পরিমান যাত্রী পারাপার হয়েছে।তবে ওপারে ধীর গতির কারনে পারাপার হওয়া যাত্রীদেরকে রাত অবধি খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, অন্তত তিন বছরের ভেতরে এটা রেকর্ড পরিমান যাত্রী পারাপার। ঈদের পর ৩দিনে প্রায় ২২ হাজার যাত্রী পারাপার হয়েছে।ঈদের আগে পরে এক সপ্তাহে পারাপার হয়েছে প্রায় ৩৮হাজার যাত্রী। "যাত্রীর চাপ বাড়ার পরও ওপারের ইমিগ্রেশন ডেস্ক ও জনবল না বাড়ানোয় ধীর গতির কারনে ভারতগামী যাত্রীদেরকে শুন্যরেখায় ঘন্টার পর ঘন্টা ঠাঁই দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।এতে ভারতগামীদের অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।"
ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মদ রাজু বলেন, হঠাৎ যাত্রীর চাপ বাড়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও যাত্রী সেবার মান বাড়াতে অতিরিক্ত জনবলসহ ডেস্কের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।আগে ডেস্ক ছিল ১০টা, এখন করা হয়েছে ১২টা। ইমিগ্রেশন পুলিশের সাথে বেনাপোল কাস্টমস ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ যাত্রী করছেন।বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ যাত্রী হয়রানি কমাতে বন্দরের বাইরেও কাজ করছেন।
ঢাকা-কোলকাতা একটি বাস সার্ভিসের বেনাপোল অফিসের ব্যবস্থাপক বাবলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন,আমাদের পরিবহন ব্যবসা হলো সেবামুলক কাজ। কিন্ত সেই সেবাটা এখন আমরা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি।আগে যাত্রীরা বেনাপোল ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করলে আমাদের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত থেকে ইমিগ্রেমনের কাজ করিয়ে দিতেন। তখন ইমিগ্রেশনে যাত্রীরা কোন হয়রানীর শিকার হতো না।বর্তমানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমাদের কোন প্রতিনিধিকে চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ভারত ভ্রমনে যাওয়া যাত্রীরা আনসার থেকে শুরু করে ইমিগ্রেশন কর্তকর্তাদের দ্বারা নানাবিধ হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, যাত্রী পারাপারে আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করছি।যাত্রী হয়রানি কমাতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারি ও দালাল মুক্ত করা হয়েছে এতে সুবিধা না পেয়ে অনেকে নাখোশ।প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয় তলায় ৫০টাকার বিনিময়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে অনেকেই যেতে চাই না।