ডার্ক মোড
Sunday, 08 September 2024
ePaper   
Logo
উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এলজিইডি

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এলজিইডি

নিজস্ব প্রতিনিধি

গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সারাদেশে ব্রিজ-কালভার্ট, সড়কসহ নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করে উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেদেরকে নিরলসভাবে নিয়োজিত রেখেছেন এলজিইডির প্রকৌশলীগণ।

বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলি আখতার হোসেন যোগদানের পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানের কাজের গতিশীলতা বেড়েছে। রাজস্ব বাজেটের আওতায় এলজিইডি প্রতিবছর গড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পায়।

এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলি আখতার হোসেন বলেন, এই অর্থ ব্যবহৃত হয় গ্রামীণ সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণে। এডিপি বাস্তবায়নে এলজিইডি প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে থাকে। এই টাকা ব্যবহার করে পল্লি, নগর এলাকায় সড়ক যোগাযোগ, আর্থসামাজিক এবং বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়।

এছাড়া দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। এলজিইডি নিজের কাজ ছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ও বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো নির্মাণ করে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ও সঠিক পথ নকশায় বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উঠে এসেছে। আর্থসামাজি উন্নয়নে দেশ যে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে এলজিইডি তার অংশীদার। সমৃদ্ধির এই অভিযাত্রায় গ্রামীণ ও নগর অবকাঠামো উন্নয়নে এলজিইডির সম্পৃক্ততা ব্যাপক।

এলজিইডি সরকারের একটি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত। টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত গুণগতমান অক্ষুন্ন রেখে অবকাঠামো নির্মাণ। কাজের গুণগত মান বজায় রাখতে প্রতিবছর এলজিইডির প্রকৌশলী এবং নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

বর্তমানে নির্মাণ শ্রমিকদেরকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। কাজের গুণগত মান রক্ষায় প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পাদনের জন্য দেশের সকল জেলায় রয়েছে এলজিইডির নিজস্ব মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি। নির্মাণ কাজে ব্যবহারের পূর্বে সাইটে মজুদকৃত নির্মাণ সামগ্রীর মান এলজিইডির ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। আর যেগুলো ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেই, সে সকল নির্মাণ সামগ্রী বিভিন্ন কারিগরি বিশ^বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা করা হয়।

সম্প্রতি এলজিইডি প্রকৌশলীগণের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি, কর্তৃক ৫১ দফা দিক্ নির্দেশনা সম্বলিত একটি পুস্তুক প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত প্রকাশনাটি সময়োপযোগী-যুগোপযোগী ও বাস্তব সম্মত। বইটির দিক্ নির্দেশনা এলজিইডির সকল প্রকৌশলীগণকে অনুসরণ করে কাজ করছে।

বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলি আখতার হোসেন এলজিইডিতে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কাজে এসেছে গতিশীলতা। প্রতিটি প্রকল্পের কাজ সুন্দর ভাবে চলছে। এ বছর এডিপি বাস্তবায়নের হার প্রায় শতভাগ নিশ্চিত করেছেন এলজিইডির প্রকৌশলীগণ। এছাড়া সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এসেছে গতিশীলতা। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের বরাদ্দের সমুদয় অর্থ এ বছর খরচ হয়েছে।

প্রতিটি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্র্থ এ বছর খরচ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি এ বছর ভালো। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থও এবছর খরচ হয়েছে। সর্বপরি এলজিইডিতে কাজের গুণগত মান বেড়েছে।

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এলজিইডি

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন