
ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে মারধর, চাল বিতরণে বাধা — কৃষকদল ও যুবদল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর হাতিয়ার হরনী ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে মারধর, পরিষদের কর্মকাণ্ডে বাধা ও কার্যালয়ে তালা লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় কৃষকদল ও যুবদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “জাটকা সংরক্ষণ ও ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ের জন্য জেলেদের বরাদ্দকৃত চাল ৪০ কেজি করে ৬৩০ জনের মধ্যে বিতরণ করা হয়, যা আগেই তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত ছিল। বুধবার স্লিপ বিতরণের দিন সকালে সোহেল কবিরসহ কয়েকজন এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং জানতে চান কারা স্লিপ পেয়েছে। পরে আমি তাদের একটি কক্ষে নিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। তখন সোহেল কবির আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।”
তিনি আরও বলেন, “পরে পরিষদের ট্যাগ অফিসার ও গ্রাম পুলিশ এসে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। পরে রুম থেকে বের হলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পরিষদের জানালা-দরজা ভাঙচুর করা হয়।”
ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি বলেন, “ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযুক্ত গ্রুপটি আগেও হুমকি দিয়ে আসছিল। সচিবকে আইনি সহায়তা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে অভিযুক্তদের একজন, হাতিয়া উপজেলা কৃষকদলের উত্তর শাখার আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম বটে, তবে মারধরের ঘটনায় আমি জড়িত নই। আমি উত্তেজনার সময় এলাকা ত্যাগ করি।
হরনী ইউনিয়ন যুবদলের ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি সোহেল উদ্দিন বলেন, “জেলেদের অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, স্লিপ পেয়েছেন এমন অনেকে প্রকৃত জেলে নন। এ বিষয়ে আমি সচিবকে প্রশ্ন করি মাত্র, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বর্তমানে হরনী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে এবং নিরাপত্তার জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (৪ জুন) দুপুরে, হরনী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। ঘটনার পর পরিষদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে কার্যালয়ে তালা লাগানো হয়।