
রণক্ষেত্র সচিবালয়, গেট ভেঙে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি
শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে দুপুর থেকে সচিবালয়ের সামনে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে ও দেওয়াল টপকে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর ফাইটার জেট বিধ্বস্তের ঘটনার প্রতিবাদে এবং এইচএসসি পরীক্ষা দেরিতে স্থগিতের নিন্দা জানিয়ে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে মঙ্গলবার শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে সচিবালয়ের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বাধা দিতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মচারী-কর্মকর্তা জানান, সচিবালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা ভেতরে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। স্বরাষ্ট্র ও এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সামনেও ভাঙচুর চালিয়েছেন তারা।
তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদেরই বলা হয়েছে সচিবালয়ে গিয়ে নিজেদের দাবি জানাতে। সচিবালয়ে তারা গেট ভেঙে প্রবেশ করেননি, এক নম্বর গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ভেতরে প্রবেশের পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
লালবাগ মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, 'হাসিনা সরকারের আমলে যেভাবে পুলিশ ছাত্রদের পিটিয়েছে, আজকেও সেই একইভাবে আমাদের পেটানো হয়েছে। আমাকে বন্দুকের বাট দিয়ে পিটিয়েছে পুলিশ। পা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে।'
রণক্ষেত্র সচিবালয়, গেট ভেঙে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সাইমুন বলেন, ‘সচিবালয়ের গেটের ভেতরে সুকৌশলে ছাত্রদের ঢুকিয়ে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। সচিবালয়ের কর্মচারীরা পর্যন্ত ছাত্রদের পিটিয়েছেন। অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।’
ইম্পেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী আসিফ বলেন, ‘ছাত্রদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। আলোচনার জন্য ডেকে নিয়ে অমনাবিকভাবে পিটিয়েছে পুলিশ।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সচিবালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু পরপর টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে।
Comment / Reply From
You May Also Like
Latest News
Vote / Poll
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ যথেষ্ট বলে মনে করেন কি?