‘যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের ফলাফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না’: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর ‘বর্বর সহিংসতা’র অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকলে এটা কখনও ঘটত না বলে মন্তব্য করেছেন এই সাবেক প্রেসিডেন্ট।
লবিস্টদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ট্রাম্প এমন বক্তব্য দিয়ে থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, তাতে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর এফডিসিতে ‘মার্কিন নির্বাচনের প্রভাব’ বিষয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘ছায়া সংসদে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিতর্কের বিষয় ছিল, ‘আগামী মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যটি সম্পূর্ণ ডমেস্টিক পলিটিক্যাল ইস্যু। লবিস্টরা হয়তো এ বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ইউনিটি কাউন্সিল ৯ জন সংখ্যালঘু মারা যাওয়ার বিষয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় এখানে ধর্মীয় বিষয়ের চেয়ে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বা অন্য কোনো কারণ ছিল।
ট্রাম্প যে মন্তব্যই করুন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যেই জিতুক না কেন, দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখছেন না প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তিনি বলেন, প্রফেসর ইউনূসের (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিক দুই পার্টিরই সিনিয়র লিডারদের খুব ভালো সম্পর্ক। তার বন্ধু দুটি দলের মধ্যেই আছে।
রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অনেকখানি ‘ব্যক্তিগত অ্যাটাচমেন্টের’ ওপর নির্ভর করে মন্তব্য করে শফিকুল বলেন, ড. ইউনুস একজন গ্লোবাল লিডার। তাই মার্কিন নির্বাচনে কমলা হ্যারিস বা ট্রাম্প যেই জয়ী হোক না কেন আমাদের সম্পর্কের জন্য কোনো চ্যালেঞ্জ হবে না।
ভারতের সঙ্গেও সরকারের সম্পর্ক ‘ভালো’ দাবি করে শফিক বলেন, আমরা চাচ্ছি তাদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তাতে আমরা সারা বিশ্বের সাপোর্ট পেয়েছি। পতিত স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে ইন্ডিয়া থাকা সত্ত্বেও তা কোনো কাজে আসেনি। জনগণ জেগে উঠলে কোনো অপশক্তিই টেকে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ছায়া সংসদে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকদের হারিয়ে বিজয়ী হয় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, এ কে এম মাজহারুল ইসলাম, সাংবাদিক নুরুল ইসলাম হাসিব, আশিকুর রহমান অপু ও আতিকুর রহমান।