সূর্যি মামা
কবি মাহফুজ রকি
সূর্যি মামা জানো কি তুমি, তোমার অনেক ভাব?
তোমার আঁচে জ্বলে পুড়ে নিচ্ছি অনেক চাপ।
রাখাল বালক তীব্র তাপে তার গরু-মহিষ চড়ায়,
হারিয়ে গেছে হিমেল বাতাস কোথায় শান্তি পাই?
কোন বা দোষে সূর্যি মামা করলে এতো রাগ?
বড্ড গরমে পাচ্ছি কষ্ট,কেউ নেই না যে ভাগ।
সূর্যি মামা বলে উঠে হঠাৎ করে আমায়,
প্রভুর হুকুমে তাপ ছড়ায় হাত যে আমার নাই।
উঠলেও দোষ,না উঠলেও দোষ কোন বা পথে যায়?
এবার গেলে ফিরবো না আর মনে রেখো ভাই।
সূর্যি মামা কেন তুমি বুঝছো আমায় ভুল?
প্রচন্ড তাপে কোন পথে যায়, পাইনা যে কোনো কূল।
আমায় তুমি ভুল বুঝনা ওরে সূর্যি মামা!
খুব যে তাপে ঝরছে ঘাম ভিজছে কত জামা।
ও মামা! শান্ত হও না এবার একটু তুমি,
হিট স্ট্রোকে মরছে শিশু কত দেশে না জানি।
এহেন মৃত্যুর সংবাদ শুনলে পাই যে কত ব্যথা,
১৫ কোটি কি.মি দূরে থেকে দেখবে কেমনে সেথা।
মামা এবার একটু থাম পারছিনা আর নিতে,
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নাহি পারছে শিক্ষার্থীরা যেতে।
কৃষক-কৃষানী স্বপ্ন বুনে বৃষ্টি কখন হবে?
স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই রয়ে যায় বৃষ্টি নাই যে তবে।
বিদ্যুৎ থেকেও যে বিদ্যুৎ নেই কি যে করি মামা,
হাত পাখা যে পরম বন্ধু এখন,হাত পাখারও জানা।
সকাল থেকে রোদের ছ্যাঁকা লাগছে সারা গায়ে,
তপ্ত ডাঙায় হাঁটলে ফোস্কা পড়ছে খালি পায়ে।
গামছা লুঙ্গি মোদের সঙ্গী সেটাই এখন জামা,
লাজ-লজ্জা নাই যে মোদের ওরে সূর্যি মামা।