ডার্ক মোড
Monday, 23 June 2025
ePaper   
Logo
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা আটক

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা আটক

স্টাফ রিপোর্টার

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে রবিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা এলাকার নিজ বাসা থেকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার হাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরা সেক্টর-৫ এর একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে কে এম নূরুল হুদাকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের একটি দল।

শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির দায়ের করা একটি মামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আটক করা হয়। ওই মামলায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

উপ-কমিশনার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে তাকে ডিবি কার্যালয়ে (মিন্টো রোড) হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে।’

এর আগে, আজ (শনিবার) সকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করে।

মামলায় সাবেক সিইসি কাজী রাকিবউদ্দিন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা, কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

বিএনপি অভিযোগ করেছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনগুলো একতরফাভাবে এবং দলীয় সরকারের অধীনে অনিয়মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা বলেছে, বারবার নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হলেও তৎকালীন নির্বাচন কমিশনগুলো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

মামলার বাদী সালাহউদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনটি নির্বাচনেই ব্যাপক অনিয়ম হলেও সে সময়ের সিইসিরা কোনো সংশোধনী উদ্যোগ নেননি। আমরা আশা করি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ভোট বর্জন করায় আওয়ামী লীগের ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সিইসি কাজী রাকিবউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে।

২০১৮ সালের একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, সিইসি কে এম নূরুল হুদার অধীনে বিএনপি অভিযোগ করে যে, ভোটগ্রহণের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরাট করা হয়।

২০২৪ সালের দ্বাদশতম জাতীয় নির্বাচন, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়, যা বিএনপি ‘নকল নির্বাচন’ বলে প্রত্যাখ্যান করে।

এ মাসের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওই তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের ভূমিকা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন