ডার্ক মোড
Saturday, 12 April 2025
ePaper   
Logo
সরিষাবাড়ীতে আকতারা হত্যার বিচারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

সরিষাবাড়ীতে আকতারা হত্যার বিচারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) 

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আকতারা বেগমের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার সকালে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া বাজারে এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এ হত্যাকান্ডের দোষীদের ফাঁসির দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির হোসেন মনো, বিএনপি নেতা মজিবর রহমান লিটন, পোগলদিঘা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি লিটন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়া, যুবদল নেতা সোহেল রানা, শেখ সেলিম, নিহতে বড় ভাই খলিলুর রহমান, ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদ রানা, ইসরাত জাহানসহ স্থানীয়রা।নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের গাছ বয়ড়া গ্রামের শান্ত মিয়ার সঙ্গে পাশের চকপাড়া গ্রামের সফর আলীর মেয়ে আক্তারা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ৪ মেয়ে সন্তান জন্মদেয় আকতারা। এরপর থেকেই ছেলে সন্তানের জন্য স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। সম্প্রতি আকতারা আবার গর্ভবতী হলে এবারও মেয়ে সন্তান হবে বলে জানতে পারে শশুর বাড়ীর লোকজন। বিষয়টি নিয়ে ঝগড়া বিবাদের জের ধরে গত ২৮ মার্চ স্বামী শান্ত মিয়া শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাশের চকপাড়া গ্রামের মৃত শশুর সফর আলীর বাড়ির পাশে গাছে ঝুলিয়ে রাখে। পরে পরে নিহতের পরিবার খবর পেয়ে আকতারা বেগমের লাশ গাছে ঝুলিয়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।নিহতের বড় ভাই খলিলুর রহমান বলেন, আমার ছোট বোন আক্তারা বেগমকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আমরা মানববন্ধন করেছি। আমার বোনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।পোগলদিঘা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়া বলেন, বারবার কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় আক্তারা বেগমকে স্বামী শান্ত মিয়া হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে। এর সঠিক তদন্ত করে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি চাঁদ মিয়া বলেন, এ ব্যাপারে থানায় আত্মহত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের স্বামী শান্ত মিয়া ও তার মেয়েকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট পেলেই হত্যা মামলা নেওয়া হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন