সন্দ্বীপে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর অভিযোগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোক আটক
সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ঘুষ না পাওয়ার অযুহাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের হাসমতের নির্দেশে রাতের আঁধারে খাম্বা সরাতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে তার লোকজন। ঘটনাটি ঘটে হরিশপুরে ৭নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খাম্বা রাখার শর্তে তাদের উদ্ধার করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘুষ ছাড়া মিলছেনা বিদ্যুৎ এর পিলার। একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাব-কন্ট্রাক্টর কাম ফোরম্যান হাসমত প্রতি পিলারে ১০ হাজার টাকা ঘুষ ছাড়া বিদ্যুৎ এর পিলার দিচ্ছে না। বসত বাড়িতে যারা টাকা দিচ্ছে শুধুমাত্র তাদের পিলার দিচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় হরিশপুর ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দকৃত বাকি পিলার রাতের অন্ধকারে সরিয়ে নেয়ার সময় আটক করে এলাকাবাসী। নাম প্রকাশ না করার শর্ত জনৈক এলাকাবাসী বলেন, ঘুষ না দেয়ায় চোরের মতো রাতের আঁধারে পিলার সরানো কেমন সমাজের ইঙ্গিত দেয় ! আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ঘুষ চাচ্ছে এমন দুটি অডিওর সূত্র ধরে জানা যায়, হাসমত নামের একজন ফোরম্যান এলাকাবাসীর কাছে খাম্বা প্রতি ১০হাজার টাকা দিতে চুক্তি করছে এবং না দিলে পিলার নিয়ে আসার হুমকি দিচ্ছে।
চুক্তির মাধ্যমে পিলার দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হাসমত বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,মানুষ বখশিস হিসেবে যা দিচ্ছে তা নিচ্ছি।আমরা বাড়তি কোন টাকা দাবি করছি না।অডিওর বিষয়টি জানালে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।
পিডিবি সূত্র জানায়, সন্দ্বীপে বিদ্যুৎ–সুবিধা দিতে ১৪৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়। ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সাবমেরিন কেব্ল প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘জেডটিটি’ নামের একটি কোম্পানি সাবমেরিন কেব্ল স্থাপনের কাজ পায়।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি চীনের এসবি সাবমেরিন সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগিতা নিয়েছে। শুরুতে ১০ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রথমে ১০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ পাবেন। সন্দ্বীপে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বাড়ানোর পর সেখানে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। তবে সঞ্চালন লাইন স্থাপনের জন্য আলাদা প্রকল্প নিতে হয়। সন্দ্বীপ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।