
রেলওয়ের মহাপরিচালকের পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পুনঃস্থাপন এবং কাঠামোগত সংস্কারের দাবিতে সরকারকে আইনি নোটিশ
নিজ্বস প্রতিবেদক
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনিরের পক্ষ থেকে রবিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের মাধ্যমে সরকারের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে একটি আনুষ্ঠানিক আইনি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন— ১. সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয় ২. সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩. সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয় ৪. মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে ৫. সচিব, আইন মন্ত্রণালয় এবং ৬. প্রধান উপদেষ্টা, আইন মন্ত্রণালয়। এ তথ্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান ।
নোটিশে বলা হয়েছে, গত দুই দশকেরও অধিক সময় ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) পদটি কার্যত প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বর্তমান কাঠামোতে ডিজি নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, বিভাগীয় ব্যবস্থা, বাজেট প্রণয়ন, প্রকল্প গ্রহণসহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে একেবারেই ক্ষমতাবিহীন। অথচ অতীতে এই পদটি ছিল রেলওয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক নেতৃত্বের প্রতীক।
নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এই অবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানের ২১, ২৯, ৩১, ৩৯, ৫৫ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ, রেলওয়ে আইন, ১৮৯০, এবং রেলওয়ে এস্তাবলিশমেন্ট কোড ও কনসোলিডেটেড রুলস-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে রেলওয়ে ব্যবস্থাপনায় সৃষ্টি হয়েছে অস্পষ্ট কর্তৃত্ব, জবাবদিহিহীনতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং কর্মীদের মধ্যে তীব্র হতাশা।
নোটিশে চারটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করা হয়েছে—
১. মহাপরিচালককে পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতাসহ সচিব পদমর্যাদা প্রদান;
২. ডিজির নেতৃত্বে একটি স্বাধীন প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করে নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, বাজেট ও প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষমতা রেলওয়ের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে আনা;
৩. রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য প্রশাসনিক দপ্তরের অযৌক্তিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা;
৪. “বাংলাদেশ রেলওয়ে অথরিটি” নামে আধা-স্বায়ত্তশাসিত একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান গঠনের লক্ষ্যে আইনগত ও নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ।
নোটিশে সরকারকে ১৫ (পনেরো) দিনের সময়সীমা দিয়ে জানানো হয়েছে, উল্লিখিত দাবিসমূহ বাস্তবায়িত না হলে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের আলোকে হাইকোর্টে জনস্বার্থমূলক রিট (চওখ) আবেদন দায়ের করা হবে। ফলে সকল প্রশাসনিক ও আইনগত দায়ভার সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের ওপর বর্তাবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি মনে করে, রেলওয়েকে একটি আধুনিক, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হলে প্রথমেই এর নেতৃত্ব কাঠামোর পুনঃস্থাপন প্রয়োজন। নেতৃত্বহীন ও মন্ত্রণালয়নির্ভর ব্যবস্থায় রেলওয়ের অগ্রগতি অসম্ভব।
গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী মহল এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে রেলওয়ের এই কাঠামোগত সংস্কার এবং ডিজির পূর্ণ ক্ষমতা পুনঃস্থাপনের জাতীয় প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনিরের পক্ষ থেকে রবিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের মাধ্যমে সরকারের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে একটি আনুষ্ঠানিক আইনি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন— ১. সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয় ২. সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩. সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয় ৪. মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে ৫. সচিব, আইন মন্ত্রণালয় এবং ৬. প্রধান উপদেষ্টা, আইন মন্ত্রণালয়। এ তথ্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান ।
নোটিশে বলা হয়েছে, গত দুই দশকেরও অধিক সময় ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) পদটি কার্যত প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বর্তমান কাঠামোতে ডিজি নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, বিভাগীয় ব্যবস্থা, বাজেট প্রণয়ন, প্রকল্প গ্রহণসহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে একেবারেই ক্ষমতাবিহীন। অথচ অতীতে এই পদটি ছিল রেলওয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক নেতৃত্বের প্রতীক।
নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এই অবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানের ২১, ২৯, ৩১, ৩৯, ৫৫ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ, রেলওয়ে আইন, ১৮৯০, এবং রেলওয়ে এস্তাবলিশমেন্ট কোড ও কনসোলিডেটেড রুলস-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে রেলওয়ে ব্যবস্থাপনায় সৃষ্টি হয়েছে অস্পষ্ট কর্তৃত্ব, জবাবদিহিহীনতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং কর্মীদের মধ্যে তীব্র হতাশা।
নোটিশে চারটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করা হয়েছে—
১. মহাপরিচালককে পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতাসহ সচিব পদমর্যাদা প্রদান;
২. ডিজির নেতৃত্বে একটি স্বাধীন প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করে নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, বাজেট ও প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষমতা রেলওয়ের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে আনা;
৩. রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য প্রশাসনিক দপ্তরের অযৌক্তিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা;
৪. “বাংলাদেশ রেলওয়ে অথরিটি” নামে আধা-স্বায়ত্তশাসিত একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান গঠনের লক্ষ্যে আইনগত ও নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ।
নোটিশে সরকারকে ১৫ (পনেরো) দিনের সময়সীমা দিয়ে জানানো হয়েছে, উল্লিখিত দাবিসমূহ বাস্তবায়িত না হলে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের আলোকে হাইকোর্টে জনস্বার্থমূলক রিট (চওখ) আবেদন দায়ের করা হবে। ফলে সকল প্রশাসনিক ও আইনগত দায়ভার সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের ওপর বর্তাবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি মনে করে, রেলওয়েকে একটি আধুনিক, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হলে প্রথমেই এর নেতৃত্ব কাঠামোর পুনঃস্থাপন প্রয়োজন। নেতৃত্বহীন ও মন্ত্রণালয়নির্ভর ব্যবস্থায় রেলওয়ের অগ্রগতি অসম্ভব।
গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী মহল এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে রেলওয়ের এই কাঠামোগত সংস্কার এবং ডিজির পূর্ণ ক্ষমতা পুনঃস্থাপনের জাতীয় প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন
আপনি ও পছন্দ করতে পারেন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
আর্কাইভ!
অনুগ্রহ করে একটি তারিখ নির্বাচন করুন!
দাখিল করুন