ডার্ক মোড
Saturday, 26 July 2025
ePaper   
Logo
রাসেলের ব্যাট দিয়ে উইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে ১১ ছক্কার সেঞ্চুরিতে রেকর্ড চুরমার ডেভিডের

রাসেলের ব্যাট দিয়ে উইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে ১১ ছক্কার সেঞ্চুরিতে রেকর্ড চুরমার ডেভিডের

স্পোর্টস ডেস্ক

১৬ বলে ফিফটি আর ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে অসাধারণ ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ জয় এনে দিলেন টিম ডেভিড, বিফলে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শেই হোপের অপরাজিত সেঞ্চুরি।

নিজের ব্যাটে অপরাজিত সেঞ্চুরি, দলের রান ২১৪। শেই হোপ হয়তো ভাবছিলেন, ম্যাচ জয়ের রসদ জোগাড় হয়ে গেছে। কে জানত, ক্যারিবিয়ান সাগর শান্ত থাকলেও সাগরপাড়ের মাঠ হয়ে উঠবে উত্তাল! ওয়ার্নার পার্কের ২২ গজে স্রেফ সুনামি বইয়ে দিলেন টিম ডেভিড। তার ব্যাটের স্রোতে ভেসে গেল সব চ্যালেঞ্জ। মাঠের বাইরে বল আছড়ে পড়ায় কত বার নতুন বলের বাকশো নিয়ে মাঠ নামতে হলো চতুর্থ আম্পায়ারকে, ইয়ত্তা নেই। সেই খুনে ব্যাটে রচিত হলো রেকর্ডের পর রেকর্ড আর অস্ট্রেলিয়ার দারুণ জয়ের গল্প।

সদ্য অবসরে যাওয়া আন্দ্রে রাসেলের কাছ থেকে বছরখানেক আগে ব্যাটটি উপহার পেয়েছিলেন ডেভিড। সেই ব্যাটেই তিনি পিষ্ট করলেন ক্যারিবিয়ানদের আশা। তার ব্যাটিং তাণ্ডবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ তারা জিতে নিল প্রথম তিন ম্যাচেই।

সেন্ট কিটসে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে তোলে ২১৪ রান। ইনিংস শুরু করতে নেমে শেষ পর্যন্ত খেলে ৫৭ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন হোপ।

রান তাড়ায় ডেভিড যখন ক্রিজে যান, অস্ট্রেলিয়া তখন পাওয়ার প্লেতেই হারিয়ে ফেলেছে তিন উইকেট। কিন্তু ডেভিডের প্রবল পাল্টা আক্রমণের কোনো জবাব দিতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন এই সিরিজের অভিষিক্ত মিচেল ওয়েন। দুজনের রেকর্ড জুটিতে ম্যাচ শেষ ২৩ বল আগেই!

১৬ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে অস্ট্রেলিয়ার দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন ডেভিড। সেটিকে পরে তিনি রূপ দেন অস্ট্রেলিয়ার দ্রুততম সেঞ্চুরিতে। বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে যখন ম্যাচ শেষ করে যখন হুঙ্কার ছোঁড়েন ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান, তার নামের পাশে তখন জ্বলজ্বল করছে ৬ চার ও ১১ ছক্কায় ৩৭ বলে ১০২!

সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেকে ঝড়ো ফিফটি করা ওয়েন এবার অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ৩৬ রান করে।

দুজনের জুটিতে স্রেফ ৪৬ বলে আসে ১২৮ রান। পঞ্চম উইকেটে যা অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড। পেছনে পড়ে যায় ৯৭ রানের আগের রেকর্ড, যেটিতে মিচেল মার্শের সঙ্গী ছিলেন এই ডেভিডই।

সিরিজের পরের ম্যাচ সেন্ট কিটসে, শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ২১৪/৪ (কিং ৬২, হোপ ১০২*, হেটমায়ার ৯, রাদারফোর্ড ১২, পাওয়েল ৯, শেফার্ড ৯*; ডোয়ার্শিস ৪-০-৪৬-০, অ্যাবট ৪-০-২১-০, এলিস ৪-০-৩৭-১, ম্যাক্সওয়েল ২-০-৩১-০, জ্যাম্পা ৪-০-৫১-১, ওয়েন ২-০-২৩-১)।

অস্ট্রেলিয়া: ১৬.১ ওভারে ২১৫/৪ (মার্শ ২২, ম্যাক্সওয়েল ২০, ইংলিস ১৫, গ্রিন ১১, ডেভিড ১০২*, ওয়েন ৩৬*; ব্লেডস ৩-০-৪০-০, হোল্ডার ৩-০-৩৫-১, আকিল ৪-০-৩৯-০, শেফার্ড ৩.১-০-৩৯-২, মোটি ২-০-৩৮-০, চেইস ১-০-২৩-০)।

ফল: অস্ট্রেলিয়া উইকেটে ৬ জয়ী।

সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে।

ম্যান অব দা ম্যাচ: টিম ডেভিড।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন