
মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস
নিউজ ডেস্ক
কোরবানি ঈদের আগে মে মাসে প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহ অব্যাহত থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস নেমেছে।
মে মাসেই পাস হয়েছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’। আর এ মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্সের প্রবাহ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে গেছে।
মে মাসে দেশটি থেকে রেমিটেন্স হিসেবে এসেছে ২২ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যেখানে গত বছরের একই মাসে ৩৩ কোটি ২০ লাখ ডলার এসেছিল।ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে ওঠে মে মাসের ১৯ তারিখ। দশ দিন পর সেটি পাস হয়।
এই আইনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্য দেশে অর্থ পাঠানোর (রেমিটেন্স) ওপর ৫ শতাংশ হারে কর বসানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন অথচ কাজ বা ব্যবসা সূত্রে সে দেশে থাকেন, তারাসহ এইচ-১বি ভিসা, এফ-১ ভিসাধারী এমনকি গ্রিনকার্ডধারীরাও এর আওতায় পড়বেন। যে কোনো অঙ্কের অর্থ পাঠালেই দিতে হবে কর।
গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্স হিসেবে ৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার এসেছিল। এক মাসের ব্যবধানে রেমিটেন্স কমেছে ৩২ দশমিক ৬৪ শতাংশ।মে মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
আর চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের (জুলাই-মে) হিসাবে প্রবাসী আয়ে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
মে মাসে সবচেয়ে বেশি ৫৩ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে পঞ্চম সর্বোচ্চ রেমিটেন্স।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী দেশের রেমিটেন্স আসার অন্যতম বড় উৎস যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে আনুমানিক ৩ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি ৩৯৪ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১২ কোটি ডলার এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।
তার আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৬ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। ওই অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে আরব আমিরাত থেকে, ৪৬০ কোটি ডলার।