
মাদারীপুরে পল্লীবিদ্যুৎতের অতিরিক্ত বিলে,পকেট শূন্য' গ্রাহকদের ক্ষোভ প্রকাশ
মীর ইমরান,মাদারীপুর
মাদারীপুরের শিবচরের পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিলের কারনে পকেট খালি হচ্ছে গ্রাহকদের । শিবচর উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নিয়ে গঠিত। শিবচর উপজেলার জোনাল অফিস হিসেবে পল্লী বিদ্যুৎ আত্মপ্রকাশ করে-২০০৫ সালে,এর আয়তন-৩৩৯.০২ বর্গ কিঃ মিঃ, এখানে দুইটি উপজেলা অন্তর্ভুক্ত, শিবচর ও মাদারীপুর সদর আংশিক,আবাসিক গ্রাহকদের সংখ্যা -১০২৮১২ জন,সেচ প্রকল্প গ্রাহকদের সংখ্যা ৮৭ টি,বাণিজ্যিক গ্রাহকদের সংখ্যা ৯.৮৯৮,জন,সব মোট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১লক্ষের উপরে।
এখানে আবাসিক গ্রাহক, এ গ্রাহকদের মধ্যে প্রায় সকল গ্রাহকদের পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিলের বারে পকেট শূন্য হচ্ছে ও অস্বাভাবিক করে গ্রাহকদের পকেট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা,এমন অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুত গ্রাহকদের।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল করার কারনে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।
পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিলের বেশি সংখ্যকই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। অতিরিক্ত বিল পরিশোধে বিপাকে পড়েছেন পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা।
শিবচর উপজেলার প্রায় সব গ্রাহকদেররি এমন অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ রয়েছে। আর পকেট শূন্য হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবহার কারী গ্রাহকদের। এই সুযোগ লুফে নিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।অতিরিক্ত বিলের টাকা গুলো কোথায় বা কাদের পকেটে ঠোকছে প্রশ্ন পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের।
এদের মধ্যে উপজেলার মাদবরেরচর, চর জানাজা , বন্দর খোলা,সন্যাসীরচর কাদির পুর,কাঁঠাল বাড়িসহ প্রায় সকল ইউনিয়নের গ্রাহকদেরই অতিরিক্ত বিলের সমস্যাটা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,গত মাসের তুলনায় এই মাসে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি বিল করার হয়েছে, যদিও পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ গতমাসে মত স্বাভাবিক ছিল। অথচ পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবহার প্রায় একই রকম থাকার পরও কেন এত অতিরিক্ত বিল করার হয়। জুন -জুলাই সহ মাঝে মাঝই এমন অতিরিক্ত বিল করে পল্লী বিদ্যুত অফিস।
আবার কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন,মিটার পরিদর্শক মিটার না দেখেই অনুমানিক বিল করে নেন।
হাফেজ শাহীন সরদার বলেন,আমি একজন হাফেজ মানুষ ছোট্ট একটি ব্যবসা পরিচালনা করি কোন মতে পরিবার নিয়ে বেঁচে আছি আমার প্রতি মাসে ১২০০থেকে ১৩০০ টাকা বিল আসতো কিন্তু গত মাসে প্রায় ৪৩০০ টাকা বিল আসে। আমি অবাক হয়ে যাই এত অস্বাভাবিক পল্লী বিদ্যুতের বিল কিভাবে আসলো। এটার কারণ কি?, সেটা আমরা জানি না। আমি এই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
পল্লী বিদ্যুত গ্রাহক শাজাহান হাওলাদার বলেন,“আমার সাধারণত ৮০০–৯০০ টাকা মাসে বিল আসে। কিন্তু এই মাসে এসেছে প্রায় ১৮০০ টাকা। কিন্তু বিদ্যুৎ ব্যবহার গত কয়েক মাসের তুলনায় এক ধাপেয় ব্যবহার হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আব্দুল করিম বয়াতি বলেন,
আমার প্রতি মাসের পল্লী বিদ্যুতের বিল ৩০০থেকে ৪০০টাকা আসে,কিন্তু এ মাসে ১১০০টাকা বিল আসছে অর্থাৎ তিন থেকে চারগুণ বিল আমার বেশি আসছে । এটার কারণ কি? আমি জানতে চাই?
আমি ঢাকা একটি চাকরি করি। গ্রামে দুই বাচ্চাসহ আমার স্ত্রী বসবাস করে।
সাধারণত পরিবার নিয়ে চলতে আমার অনেক কষ্ট হয়। তারপরে পল্লী বিদ্যুতের তিন-চার গুণ বেশি বিল আসাতে অতিষ্ঠ।
পল্লী বিদ্যুৎ শিবচর জোনাল অফিস,ডি.জি.এম অভিলাষ চন্দ্র পালের কাছে অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অতিরিক্ত বিল আসার বিষয়টি জানতে পারি কিন্তু,প্রযুক্তিগত সমস্যা বা বিলিং সফটওয়্যারে ত্রুটির কারণে কিছু ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। অথবা মাঠ পর্যায় কর্মীদের লেখার ভুল হতে পারে। এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে সমালোচনা। ভুক্তভোগী পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের দাবি অনতিবিলম্বে সঠিক মিটার রিডিং ও প্রয়োজনীয় সমাধান করে অতিরিক্ত বিলের সমাধান করবে পল্লী বিদ্যুৎ ,যদি না করে আমরা কোন বিল পরিশোধ করবো না বলেও হুঁশিয়ারি দেন পল্লী বিদ্যুতের ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন
আপনি ও পছন্দ করতে পারেন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
আর্কাইভ!
অনুগ্রহ করে একটি তারিখ নির্বাচন করুন!
দাখিল করুন