
বৈষম্য বিরোধী ছাএ আন্দোলনঃ- লালমনিরহাটে আ. লীগ নেতার বাড়ি থেকে ৬ জন শিক্ষার্থীর পুড়িয়ে যাওয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা গ্রেফতার- ৬ জন
লালমনিরহাট সংবাদদাতা
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন খান ওরফে হুন্ডি সুমনের বাড়ি থেকে ৬ জন শিক্ষার্থীর পুড়িয়ে যাওয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৬৯ তাং ২৭/৫/২৫ ইং।
ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর মঙ্গলবার ২৭ মে মামলাটি করেছে গত জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন আরমান আরিফ। মামলা হওয়ার পরপরই ২৭ মে মঙ্গলবার বিকেল ও রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ৮ জন ও ১ জন ব্যবসায়ীসহ মোট ৯ জন গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন, জোবায়ের হোসেন, আল শাহরিয়ার রিয়াদ তন্ময়, শাহরিয়ার আল আফরোজ শ্রাবন, জনি মিয়া, রাধিক হোসেন রুশো ও রাজিব উল করিম সরকার।গত বছরের ৫ আগষ্ট রাতে সুমন খানের পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে ওই ৬ জন শিক্ষার্থীর দগ্ধ হওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামী সুমন খান প্রথমে তার বহুতল বাড়িতে ৬ জন শিক্ষার্থীকে আটকে রাখে। পরে অপর আসামীদের সহায়তায় নিজেদের বাঁচানোর অপকৌশল হিসাবে আগুন ধরিয়ে দিয়ে অন্যত্র সরে পড়ে। সেই আগুনে পুড়িয়ে মারা যায় ওই ৬ জন শিক্ষার্থী।জানা গেছে, গত বছর ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই দিন বিকেলে সুমন খানের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় বহুতল বাড়ির সবকিছু। ওই দিন রাতে সেই বাড়ি থেকে পুড়িয়ে মারা যাওয়া ৬ জন শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার হয়।এদিকে মামলার প্রধান আসামী সুমন খান অর্থ পাচারসহ একাধিক মামলায় কারাগারে আটক রয়েছে।
লালমনিরহাট
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নুর নবী জানান, মামলায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বুধবার ২৮ মে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার ৯ নং আসামী ব্যবসায়ী শরিফ আতাউল্ল্যাহ সরকার এর পরিবার জানায়, তাকে একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে ৬ জন শিক্ষার্থী কে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় জড়ানো হয়েছে। তার পরিবার অবিলম্বে ব্যবসায়ী শরিফের মুক্তির দাবী জানিয়েছে।
পুলিশ বলছেন, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
