
বিটিভিতে দেখা যাবে চিরকুট-স্করপিয়ন কনসার্ট
বিনোদন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’ অনুষ্ঠিত হবে কাল শুক্রবার। এ কনসার্টে গান শোনাবে বাংলাদেশের ব্যান্ড চিরকুট ও জার্মানির স্করপিয়ন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের উদ্যোগ ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় এ কনসার্টের আয়োজন করা হচ্ছে।
গত বুধবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে কনসার্টের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্মেদ। তিনি জানান, বাংলাদেশের বেসরকারি খাতও এ কনসার্ট আয়োজনে সহায়তা করেছে। অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিরকুটের ভোকাল সংগীতশিল্পী সুমী জানান, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৮টায় মঞ্চে উঠবেন তাঁরা। জুনায়েদ আহ্মেদ বলেন, ‘আমরা এই অনুষ্ঠান ডিসেম্বরে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওই সময়ে নিউইয়র্কে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়। বিভিন্ন জটিলতায় ৬ মে কনসার্টের দিন নির্ধারণ করা হয়।’ কনসার্ট আয়োজনে এখনো কিছুটা অনিশ্চিয়তা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো কয়েকটি বিষয় নিষ্পন্ন না হলে কনসার্টটি পিছিয়ে যেতে পারে।’
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলার মনিরুল ইসলাম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য নুরুল আলম রুহুল, অপরাজিতা হক, এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনির চৌধুরী, ডিজিটাল নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক খায়রুল আমিন, তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজাউল মাকসুদ প্রমুখ।
এরই মধ্যে ম্যাডিসন স্কয়ারে অনুষ্ঠিতব্য গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্টের চার হাজারের মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে। কনসার্ট থেকে অর্জিত অর্থ সাইবার নিরাপত্তায় ইউএনডিপির তহবিলে দেওয়া হবে। পাশপাশি আগামী বছর থেকে ইউএনডিপি-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তনের ঘোষণাও দেন জুনায়েদ আহ্মেদ।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক শক্তিও বিশেষভাবে সক্রিয় ছিল। ১৯৭১ সালে পণ্ডিত রবিশংকর ও তাঁর বন্ধু বিটলস ব্যান্ডের জর্জ হ্যারিসনকে নিয়ে বাংলাদেশের শরণার্থীদের সাহায্যার্থে একটি কনসার্ট আয়োজন করা হয় ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে। সেই কনসার্ট থেকে পাওয়া অর্থ পাঠানো হয় বাংলাদেশের শরণার্থীদের কল্যাণে।