ডার্ক মোড
Sunday, 24 November 2024
ePaper   
Logo
বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানে দীর্ঘ ২৫ বছর পর গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে সাঙ্গু নদীতে সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার, জোন কমান্ডার মাহমুদুল হাসানসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টা দিকে উজানী পাড়া সাঙ্গু নদীর ঘাট থেকে শুরু হয় এ প্রতিযোগিতা। জেলা শহরের বিভিন্ন পাড়া থেকে যুবক যুবতীরা দল বেঁধে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিটি নৌকায় ৮ জন মাঝি বৈঠার তালে গান গেয়ে বেয়ে যায় তাদের নৌকা। এদিকে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে সাঙ্গু নদীর তীরে পাহাড়ী বাঙ্গালীসহ পর্যটকদের অংশগ্রহণে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। নেচে গেয়ে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন সকলেই। দীর্ঘ দিন পর গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে খুশি প্রতিযোগীরা। শুধু নৌকা বাইচ নয়, সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সাপ্তাহব্যাপী এই অনুষ্ঠানে রয়েছে তৈলাক্ত বাঁশ আরোহন, টেবিল টেনিস, ব্যাটমিন্টন, ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডি, বলি খেলাসহ স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, আমাদের এলাকায় দীর্ঘদিন পর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। তাই আমরা দল বেঁধে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। অংশগ্রহণ করতে পেরে আমাদের অনেক ভালো লাগতেছে, আমরা খুবই খুশী। আমরা চাই এ ধরনের প্রতিযোগিতা প্রতি বছর আয়োজন করা হোক।

দর্শনার্থীরা বলেন, আমাদের গ্রাম বাংলার এসব প্রতিযোগিতা অনেকটা হারিয়ে যাওয়ার পথে। সাঙ্গু নদীতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা দেখা হয়নি। এ প্রথম দেখতেছি, সবাই মিলে অনেক আনন্দ করতেছি। এসব তারা বলেন, গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতা তুলে ধরার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা চাই ঐতিহ্য রক্ষার্থে এ ধরনের প্রতিযোগিতা রীতিমত করা হোক।

এদিকে যুব সমাজকে ক্রীড়া মুখী ও মাদক থেকে দূরে রাখতে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন বলে জানান আয়োজক কমিটি আহŸায়ক নিনিপ্রæ মারমা। আমাদের যুবক সমাজকে মাদক ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে ক্রীড়ার কোন বিকল্প নেই। অনেকেই জানে না নৌকা বাইচ কি, তাই পুরানো ঐতিহ্য ধরে রাখতে ক্রীড়াঙ্গনকে জাগ্রত করতে আমাদের ব্যতিক্রমী এই আয়োজন। আগামীতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮ টি দল অংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে রয়েছে ৭টি মহিলা দল। আগামী ৩০ নভেম্বর পুরষ্কার বিতরণের মধ্যদিয়ে শেষ সাপ্তাহব্যাপী এই মেলা।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন