ডার্ক মোড
Friday, 22 November 2024
ePaper   
Logo
বাইডেনের চিঠির প্রতিউত্তরে চিঠি পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বাইডেনের চিঠির প্রতিউত্তরে চিঠি পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই চিঠির প্রতিউত্তরে ওয়াশিংটনে চিঠি পাঠাচ্ছেন সরকারপ্রধান। সেই চিঠির একটি কপি মার্কিন প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা সফররত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখারের নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধি দল রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে চিঠির বিষয়টি জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, কীভাবে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীরতর করতে পারি এবং সম্পর্কের নতুন যুগ কীভাবে শক্তিশালী করতে পারি, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। তারাও আমাদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চায়। সম্পর্ক উন্নয়ন করার লক্ষ্যেই কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সেই চিঠিতে তিনি (বাইডেন) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন অধ্যায়ে সম্পর্ক করার বিষয়ে তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন। আজ আমি তাদের হাতে (মার্কিন প্রতিনিধির) প্রধানমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, সেটির কপি হস্তান্তর করেছি। মূল কপিটি আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হোয়াইট হাউসে হস্তান্তর করবেন।

চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন।

চিঠিতে বাইডেন লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরুর পর্বে আমি বলতে চাই, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ আরও অনেক ইস্যুতে আমাদের প্রশাসনের একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথা আমি তুলে ধরছি।’

তিনি লেখেন, ‘সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে। আর আমাদের এই সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে দুই দেশের জনগণের শক্তিশালী সম্পর্ক।’

চিঠির শেষে প্রেসিডেন্ট বাইডেন লেখেন, ‘বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থন এবং একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন