ডার্ক মোড
Tuesday, 26 August 2025
ePaper   
Logo
বসতবাড়ি দখল করতে তাহিরপুরে শিশুসহ ৫ জনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম

বসতবাড়ি দখল করতে তাহিরপুরে শিশুসহ ৫ জনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম

 
 
 
 
 
বসতবাড়ি দখল করতে গিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে একদল দূবৃক্ত শিশুসহ ৫ জনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে।
 
ওই ঘটনায় ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
 
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন,তাহিরপুরের উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শামছুল হক ওরফে সামছু,তার সহোদর শহিদ মিয়া, সামছুর ছেলে আল আমিন, সজিব, একই গ্রামের সামছুর নিকটাত্বীয় তাহের মিয়া, লুৎফুর রহমান, হাবিবুর রহমান, ফজল হক, হোসেন মিয়া, ধন মিয়া, কালা মিয়া, কাউসার মিয়া,  কালাম, মোছা মিয়া, মহর উদ্দিন,শফিকুল,উসমাস গণি,মোহাম্মদ আলী সহ অজ্ঞাত নামা ৪ থেকে ৫জন।
 
উপজেলার লাকমা গ্রামের মুত তাহের মিয়া ছেলে বাছির মিয়া বাদী হয়ে ২০ আগষ্ট তাহিরপুর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন।
 
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গেল কয়েক বছর ধরেই উপজেলার লাকমা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সামছুল হক ওরফে সামছু সীমান্ত সংলগ্ন বাছির মিয়ার পৈতৃক ভিটা কিনতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১৯ আগষ্ট পরিবার স্বজন সহ একদল দুবৃক্ত নিয়ে সামছু বাছিরের বাড়িতে ভাঙচুর চালান। 
বাঁধা দিতে গেলে সামছুর লোকজন ৬ বছরের শিশু আরিফুল সহ রাশিদ, দুলাল, হেকমত লোকমানকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্ষার্থ জখম করে বসতবাড়ি ছেড়ে দিতে হুমকি প্রদান করে সদলবলে ফিরে যান।
আহতরা তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল,সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সোমবার মামলার বাদী উপজেলার লাকমা গ্রামের বাছির মিয়া জানান, সামছুল হক তার লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন মামলা তুলে না নিলে তারাও থানায় পাল্টা মামলা করে আমাদের পরিবারের লোকজনকে জেল খাটাবেন,আমাদের পরিবারের সদস্যরা ফের হামলার ভয়ে বাড়িতে রাত্রিযাপন করতে পারছিনা। 
সোমবার উপজেলার লাকমা গ্রামের অভিযুক্ত সামছুল হক ওরফে সামছু বলেন, আমার চাচাত ভাইয়ের কেনা জমির দখল না ছাড়ায় ওই ঘটনাটি ঘটেছিলো। মামলার পর ১২ জন আদালতে হাজির হলে ১১ জন জামিন লাভ করেছে। সামছু আরো বলেন, আমাদের ঈক্ষ থেকে কোন গুমকি দেয়া হয়নি, তবে আমরাও থানায় মামলা করব। 
সোমবার দুপুরে তাহিরপুর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে,আসামিদের কয়েকজন আদালতে হাজির হয়েছেন বলে জেনেছি,পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।  
 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন