
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাকৃবির ৬৫তম জন্মদিন পালিত
বাকৃবি প্রতিনিধি
বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)-এর ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলিপ্যাডে দিবসটি উদ্বোধন করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এ সময় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, কবুতর অবমুক্তকরণ এবং আনন্দ র্যালির আয়োজন করা হয়।
হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকায় বৃক্ষরোপণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে ও উপাচার্যের বাস ভবন সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ‘গৌরবের ৬৪ বছর: অর্জন ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহেও বৃক্ষরোপণ করা হয়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মসজিদ ও উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বলেন, “বিশ্বমানের পাঠ্যসূচি, অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি এবং আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-সহযোগিতার মাধ্যমে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা আজ আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা অর্জন করছে। এখানে দেওয়া ডিগ্রিসমূহ অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ গ্র্যাজুয়েটরা সরাসরি দেশের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখার ব্যাপক সুযোগ পেয়েছে। মাতৃসম এ বিশ্ববিদ্যালয় হতে উত্তীর্ণ কৃষিবিজ্ঞানীদের অনেকেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পুরস্কৃত হয়েছেন এবং পেশাগত পূর্ণতায় বিকশিত হয়ে দেশের কৃষি-সংস্কৃতির পরিমণ্ডলকে সমৃদ্ধ ও আলোকিত করেছেন।”
উপাচার্য যোগ করেন, “দেশ আজ ক্রমবর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে অসামান্য সাফল্য লাভ করেছে। কৃষিক্ষেত্রে দৃশ্যমান এ সাফল্যের কৃতিত্ব দেশের কৃষক এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এই পরম লগ্নে বাকৃবির সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, তাদের অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অ্যালামনাই, জেলা প্রশাসন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও প্রতিবেশীসহ সকল স্তরের জনগণকে জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।”