বরিশালের সিভিল সার্জন ডাঃ এস,এম মঞ্জুর এলাহি  ও বরিশালের বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডলের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন দুজন ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগী দুজনের বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার বড়াকোঠা ইউনিয়নে।

ভুক্তভোগী ১.মেহেদী হাসান, পিতা আনোয়ার হোসেন,সাং (মালিকান্দা,থানা উজিরপুর ) ২.শাহাদাত হোসেন,পিতা আবুল কালাম আজাদ,সাং (গড়িয়া,থানা উজিরপুর জেলা) ।ভুক্তভোগীদের লিগ্যাল নোটিশের বরাদ্দ অনুযায়ী জানা যায়,ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান জানান,বরিশাল বিভাগীয় জেলা সিভিল সার্জন কর্তৃক স্বাস্থ্য সহকারী পদের বিগত ইংরেজি ২০২৫ সালের ৩০শে মে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় কৃতকার্য হয় ।

যার পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন ভিত্তিক চার্টে আমার  রোল নাম্বারটির ভাইভা পরীক্ষা আগামী ২৩/৬/২৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য হবে তা দেখতে পাই।এমনকি আমার মোবাইলে এসএমএসও আসে।আমি বিএ সম্মান পরীক্ষার ছাত্র হওয়ায় ওই তারিখে আমার বাংলা জাতীয় ভাষার পরীক্ষা ছিল,বিষয়টি আমি অফিসে অবগত করলে অফিস কর্তৃপক্ষ জানায় যেহেতু আপনার ওই তারিখে পরীক্ষা আছে তাহলে আপনি আগামী ২৬/৬/২৫ তারিখের ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।সেই অনুযায়ী আমি সকাল ৯ ঘটিকায় পরীক্ষা দিতে আসলে আমার পরীক্ষা না নিয়ে গরিমসি করে।এবং জানায় আপনার ভাইভা ওই তারিখেই শেষ হয়ে গেছে এবং আপনাকে ওই তারিখে অনুপস্থিত দেখিয়েছি আপনার আর ভাইভা নেয়া হবেনা।অপর ভুক্তভোগী শাহাদাৎ হোসেন জানান,স্বাস্হ্য সহকারী পদে বিগত ইংরেজি ২৫ সালের মে মাসের ৩০ তারিখের অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় কৃতকার্য হই।কিন্তু আমার কোন ভাইভা পরীক্ষা গ্রহন না করে,কিংবা আমাকে কোন প্রকার ফোন অথবা এসএমএস না দিয়া বিগত ইংরেজি ২৫/৬/২৫ তারিখে সকাল ১০:২০ মিনিটের সময় আমার ব্যাবহৃত মুঠোফোনে ০১৭২৪-৯৭০৩০৭ নাম্বার এ একটি এসএমএস এর মাধ্যমে আমাকে অবগত করা হয় যে,উক্ত পরীক্ষার বর্তমান ও পুরাতন ঠিকানায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক সঠিক চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট প্রদান করিতে,আরও বলা হয় যে বিগত ইংরেজি ২৬/৬/২৫ তারিখে বেলা ৪ ঘটিকায় ডিভিশনাল ডাইরেক্টর (স্বাস্থ্য) বরিশাল বিভাগের অফিসে আসতে।তাদের কথা অনুযায়ী আমি তাদের চাওয়া সকল কাগজপত্রাদি নিয়ে অফিসে হাজির হই।কিন্তু তারা আমার সকল কাগজপত্র নিতে অস্বীকৃতি জানায়।এবং বলে আপনার ভাইভার তারিখ শেষ,আপনার আর কোন ভাইভা নেয়া হবেনা।আপনাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে।যেখান থেকে এসএমএস আসছে সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করেন।তাই আমরা উপায়ন্ত না পেয়ে আইনের শরণাপন্ন হই এবং তাদের বিরুদ্ধে আমরা লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করি।এর মাধ্যমে যদি আমরা কোন ভাইভার সমাধান না পাই তাহলে আমরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপে যেতে বাধ্য হব।কেননা এই চাকুরীটা আমাদের জীবন মরনের প্রশ্ন। বরিশাল বারের সিনিয়র আইনজীবি ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডঃ হাফিজ আহম্মেদ বাবলু জানান,ঘটনার সত্যতা রয়েছে তাই প্রাথমিক ভাবে তাদের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।নোটিশের সঠিক জবাব না পেলে পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্হা নেয়া হবে