ডার্ক মোড
Saturday, 28 June 2025
ePaper   
Logo
ফরিদপুর রেলওয়ে বস্তিতে যৌথবাহিনীর মাদকরিরোধী বিশেষ অভিযান: নরীসহ আটক ১৫ জন

ফরিদপুর রেলওয়ে বস্তিতে যৌথবাহিনীর মাদকরিরোধী বিশেষ অভিযান: নরীসহ আটক ১৫ জন

ফরিদপুর প্রতিনিধি 

ফরিদপুর সদর উপজেলার গুহ লক্ষ্মীপুর এলাকার রেলওয়ে বস্তিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা মাদক কারবার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক, দেশীয় অস্ত্র ও অন্যান্য অপরাধ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে আলোচিত মাদক চক্রের নেত্রী শিলপি বেগম (৩০) এবং তার পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।

সেনা সূত্র জানায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফরিদপুর আর্মি ক্যাম্পে গুহ লক্ষ্মীপুর রেলওয়ে বস্তি এলাকায় চলমান মাদক পাচার, জোরপূর্বক দখলদারিত্ব এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসছিল। গোপন সূত্রে তথ্য পাওয়া যায়, শিলপি বেগম ও তার পরিবার এলাকায় একটি সুসংগঠিত মাদক নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে, যেখানে নারীদের ব্যবহার করে প্রকাশ্যে ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইন বিক্রি করা হচ্ছিল। অনুসন্ধানে উঠে আসে, শিলপির সঙ্গে ভারতীয় মাদক পাচার চক্রের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে এবং ভারত থেকে গাঁজা এনে এই এলাকায় সরবরাহ করে একটি অবৈধ অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস উপলক্ষে ১৫ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ যৌথভাবে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে তাৎক্ষণিকভাবে ৭ জনকে হাতেনাতে মাদক বিক্রির সময় আটক করা হয়। এরপর রাতভর এলাকাজুড়ে পরিচালিত তল্লাশি ও বস্তির কেন্দ্রে অবস্থিত শিলপির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে এবং আরও আটজনকে আটক করা হয়। অভিযান চলাকালে শিলপির বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, দেশীয় ধারালো অস্ত্র এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়, যা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ভীতি ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে আসছিল তারা।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযানে উদ্ধারকৃত সামগ্রীতে রয়েছে ৪৫.৫ কেজি গাঁজা, ৩৩৭টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২১১টি হেরোইনের প্যাকেট, ৬১টি দেশীয় অস্ত্র, ২টি বিদেশি মদের বোতল, ৯টি ফিচার ফোন এবং ১০টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন।

আটককৃত ১৫ জনকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সেনা সূত্র মতে জানা যায়, অবৈধ অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে সেনাবাহিনী। অপরাধ দমনে সেনা ক্যাম্পসমূহকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করা  করা হয়েছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন