ডার্ক মোড
Friday, 31 January 2025
ePaper   
Logo
নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষরে রেকর্ড করেছেন ট্রাম্প : অ্যাক্সিওস

নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষরে রেকর্ড করেছেন ট্রাম্প : অ্যাক্সিওস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহনের পর নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষরে রেকর্ড করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ১০ দিনে মোট ৩৮টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, ট্রাম্পের ৪৬ জন পূর্বসূরীর কেউই শপথ গ্রহণের ১০ দিনের মধ্যে এত সংখ্যক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেননি। এতদিন যৌথভাবে এ রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ৩৩তম প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান। উভয়েই ৩৩টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে এই আদেশগুলোতে তারা স্বাক্ষর করেছিলেন শপথ গ্রহণ করার পর ১০০ দিনের মধ্যে।

ট্রাম্পের ক্ষমতার প্রথম ১০০ দিন শেষ হতে এখনও বাকি আছে আড়াই মাসেরও বেশি সময়। যে গতিতে তিনি একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারি করে যাচ্ছেন, তা অব্যাহত রাখলে আগামী ১০০ দিনে এই রেকর্ড কোথায় পৌঁছুবে তা এখনও কল্পনায় আনা যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এক্সিওস।

একই সঙ্গে ট্রাম্পের চার বছরের মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা কেমন হবে— সেটিও অনুমান করা যাচ্ছে না। কারণ গত ১০ দিনে যে যেসব নির্বাহী আদেশে তিনি স্বাক্ষর করেছেন, সবগুলোই স্বরাষ্ট্র ও পরারাষ্ট্র নীতি, অভিবাসন, বাণিজ্য, জ্বালানি এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর পুনর্গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সংক্রান্ত।

ট্রাম্পের মেয়াদের বিগত ১০ দিনের মূল্যায়ন সম্পর্কে এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার সীমাকে অতিক্রম করে এবং একতরফা পদক্ষেপের ধাক্কা ও বিস্ময়কার প্রচারণার মাধ্যমে ফেডারেল সরকারকে পুনর্গঠন’ করার চেষ্টা করেছেন।

এছাড়া ট্রাম্পের এসব আদেশের অনেকগুলো আদালতের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে। ইতোম্যেধ মার্কিন সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি সংস্থাগুলোতে সহায়তা ও ঋণ বন্ধের যে নির্বাহী আদেশ তিনি স্বাক্ষর করেছিলেন, তা আটকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত। এছাড়া জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের যে আদেশে তিনি স্বাক্ষর করেছেন, তার বিরুদ্ধে আরেকটি আদালতে মামলাও করা হয়েছে। মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অনেকেই বলছেন, নির্বাহী আদেশ জারির ক্ষেত্রে সংবির্ধানকে তোয়াক্কা করছেন না ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য ও দেশটির বামপন্থি রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত নেতা বার্নি স্যান্ডার্স এ প্রসঙ্গে এক্সিওসকে বলেন, “ট্রাম্প যদি কোনো আইন বা বিধি পরিবর্তন করতে চান, তাহলে তিনি কংগ্রেসকে এ ব্যাপারে বলতে পারেন। তার সে অধিকার রয়েছে।”

“কিন্তু প্রেসিডেন্টের পদাধিকারবলে তিনি সংবিধান লঙ্ঘণ করতে পারেন না। তিনি রাজা নন।”

সূত্র : আরটি

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন